বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে মঙ্গলবার সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে নেওয়া উদ্যোগের অগ্রগতির খবর জায়গা পেয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রধান প্রতিবেদনে। এর পাশাপাশি দেশে দারিদ্যের হার বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা কমে যাওয়া, ঈদের ছুটি ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়া এবং ঈদে টোলঘরে যানজটের শঙ্কার খবরও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে নেওয়া উদ্যোগের অগ্রগতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘সংস্কার হবে অধ্যাদেশে, পরে সংবিধান সংশোধন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে ১২১টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে দুটি বিষয় রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু সরকার এ দুটি বিষয়ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর একটি নিয়ে ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংশোধন করে ওই বিষয়গুলো নতুন অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংবিধানে সংযোজন করা হবে বলে জানা গেছে। সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের নিজেরই সাংবিধানিক বৈধতা নেই। এখন সংবিধান সংশোধন করতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।

সমকাল
দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কমে গেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘বেড়েছে দারিদ্র্যের হার, কমেছে খাদ্য নিরাপত্তা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে দারিদ্র্যের হার এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) পরিচালিত এক ধারণা জরিপ বা পারসেপশন সার্ভেতে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার বিআইডিএসের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। বিআইডিএসের ধারণা জরিপে এ হার হয়েছে ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ। যদিও বিবিএসের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ দেশব্যাপী অনেক বড় নমুনার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। আর বিআইডিএস পাঁচটি জেলার ওপর ধারণা জরিপ করেছে। বিআইডিএস বলেছে, তাদের জরিপটি খানা আয় ও ব্যয় জরিপের সঙ্গে তুলনা করার জন্য নয়। তবে ধারণা জরিপে এটি ফুটে উঠেছে যে, দুই বছর আগের চেয়ে দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

প্রথম আলো
ঈদযাত্রায় টোল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সেতু ও সড়কের টোলঘর বা বুথে দীর্ঘ লাইনের কারণে বড় আকারে যানজট তৈরি হতে পারে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘ঈদে টোলঘরে যানজটের শঙ্কা, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ব্যবহার কম’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিল দিতে এখন আর মানুষকে ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরতে হয় না। মুঠোফোনেই দেওয়া যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতনও দেওয়া যায় মুঠোফোনে। এমন অনেক সেবাই এখন সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু সেতু ও সড়কের টোল দিতে গিয়ে এখনো টোলঘর বা বুথে যানজট তৈরি হয়।
প্রতিবছর বড় ছুটি ও উৎসবের সময় দেখা যায় টোলঘরকেন্দ্রিক দীর্ঘ যানজট। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরেও টোলঘরে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু দেশে স্বয়ংক্রিয় টোলব্যবস্থা চালু হয়েছে আরও পাঁচ-ছয় বছর আগে। যদিও তার ব্যবহার নেই বললেই চলে।
দেশে মূলত সড়ক, উড়ালসড়ক ও সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়। এসব স্থাপনার বেশির ভাগই সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের এবং সেতু বিভাগের অধীন। চট্টগ্রামের একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিয়ন্ত্রণ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। আর ঢাকার মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের দায়িত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
সওজ সূত্র জানায়, তাদের অধীনে থাকা দেশের আটটি বড় সেতু ও দুটি সড়কে ২০১৯ সালের এপ্রিলে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়ব্যবস্থা বা ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বুথ চালু করা হয়েছে। ইটিসি বুথ ব্যবহার করলে ১০ শতাংশ টোল ছাড় পাওয়া যায়। আর সেতু বিভাগ ইটিসি বুথ চালু করে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।

কালের কণ্ঠ
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে নেওয়া উদ্যোগের অগ্রগতির খবর দিয়ে খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘সংস্কারে আশা-নিরাশা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে সাতটি কমিশন এরই মধ্যে সুপারিশ জমা দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু এর সফলতা এখনো স্পষ্ট নয়। অনেক বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশের খবর মিলছে। বেশ কিছু বিষয়ে এক দলের চাওয়ার সঙ্গে অন্য দলের চাহিদা মিলছে না। আশা-নিরাশার এই দোলাচলে রাষ্ট্রের মেরামত কতটা সম্পন্ন হবে তা নিয়ে জনপরিসরে নানামুখী আলোচনা চলমান।
ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলের মতামত নিচ্ছে। এর মধ্যে ৭০টি সংবিধানসংক্রান্ত, ২৭টি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত। বিচার বিভাগসংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসনসংক্রান্ত ২৬টি ও ২০টি দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত। এই সুপারিশে একমত, আংশিক একমত ও ভিন্নমতে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে জানাতে ‘স্প্রেডশিট’ দেওয়া হয়েছে। তবে এর বাইরেও মতামত রাখছে দলগুলো।

ইত্তেফাক
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীতে এবং পথে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তৈরি করা প্রতিবেদনকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তার শঙ্কা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের লম্বা ছুটি শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। দীর্ঘ এই ছুটিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে? ছুটির সময়ে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যায়। আর লম্বা ছুটিতে ঘরমুখী মানুষ নানা প্রতারণা ও অপরাধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শঙ্কা আছে সারা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে।
তবে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবার ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সারা দেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ছাড়াও আনসার সদস্যরা এ সময় মাঠে থাকবে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. নাসিমুল গনি গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়োজিত রয়েছেন।

যুগান্তর
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যুতে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘শুরুতেই হোঁচট এনসিপির’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র ও তরুণদের দল। ব্যাপক জনপ্রত্যাশার স্নায়ুচাপ সৃষ্টি করে তৃতীয় ধারার এ রাজনৈতিক দলটি সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু একেবারে দল গঠনের প্রথম দিন থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সঙ্গে নানামুখী অভিযোগের চাপও ঘিরে ধরেছে তারুণ্যনির্ভর এ দলটিকে।
আন্দোলনের সময় কোনো সিদ্ধান্ত না থাকলেও এই পর্যায়ে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করা, গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বীরোচিত ভূমিকা রাখা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন, শহিদ পরিবারসহ আহতদের পাশে সক্রিয়ভাবে না থাকা, দল গঠনের সময় শুধু একটি কোরগ্রুপকে প্রাধান্য দেওয়া, দল পরিচালনার তহবিল গঠন প্রশ্নে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট না করা, সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইনহাউস বৈঠকের তথ্য প্রকাশ্যে আনা এবং সর্বোপরি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ঘটনায় এনসিপিকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সোমবার যুগান্তরের কাছে এমন সব মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি বছর জনগণের বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘প্রশিক্ষণেই গেল ১৯ হাজার কোটি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য জনগণের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও খুব বেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এক মন্ত্রণালয়ের হয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পরই তারা বদলি হয়ে যান অন্য মন্ত্রণালয়ে। আবার অনেকে প্রশিক্ষণের পরপরই যান অবসরে। ফলে অর্জিত জ্ঞান জনকল্যাণে প্রয়োগ হচ্ছে না। তাই প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো এবং জনগণের অর্থের অপচয় রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

নয়া দিগন্ত
দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে অবস্থান নিয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভ করার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘দ্রুত বিচারে ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বেলা ১টার পর জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির ব্যানারে অবস্থান নেন তারা। বেলা পৌনে ৪টা পর্যন্ত তারা ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তারা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আট মাস অতিবাহিত হলেও এখনো হত্যার বিচার হচ্ছে না। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচারের নামে রঙ্গমঞ্চ ও তামাশা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে দেশে নিয়ে এসে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাতে হবে।
শুরুতে দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে জুলাই মঞ্চের ব্যানারে একটি মিছিল নিয়ে আসা হয়। জুলাই হত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

কালবেলা
অতিরিক্ত মুনাফা করতে এয়ারলাইন্সের টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ৩০টি ট্রাভেল এজেন্সির আয়কর নথি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত শুরু করার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালবেলা। ‘৩০ ট্রাভেল এজেন্সির আয়কর নথি তদন্ত করছে এনবিআর’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম ট্রাভেল এজেন্সি ‘শেয়ার ট্রিপ’ অতিরিক্ত মুনাফা করতে এয়ারলাইন্সের টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে গঠিত একটি কমিটি এ সিন্ডিকেটে শেয়ার ট্রিপের সঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় আরও ৩০টি ট্রাভেল এজেন্সির জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়কর নথি তদন্ত করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, গালফ এয়ারলাইন্স, আমিরাত এয়ারলাইন্স, এয়ার অ্যারাবিয়া, জাজিরা, ফ্লাই দুবাইসহ ১৬টি এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও ৩০টি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি ধরতে তদন্ত শুরু করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। সংস্থাটি চলতি মাসের শুরুতে যাবতীয় তথ্য চেয়ে চিঠিও দিয়েছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। এয়ার টিকিট সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আয়কর গোয়েন্দাও তাদের কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে জিএসএদের ম্যানেজারদের কর ফাইলও তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দা সূত্র।

দেশ রূপান্তর
বর্তমানে দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলোর ৭৫ শতাংশ চিকিৎসকের পদই ফাঁকা– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘চিকিৎসকের ৭৫ শতাংশ পদ শূন্য’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৪৩৫টি উপজেলা হাসপাতালের ৪৭ শতাংশ চিকিৎসকের পদ শূন্য। যে ৫৩ শতাংশ চিকিৎসক আছে, এর মধ্যে ২৮ শতাংশ চিকিৎসককে সংযুক্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে। সে হিসেবে এই মুহূর্তে উপজেলা হাসপাতালগুলোর ৭৫ শতাংশ চিকিৎসকের পদই ফাঁকা। অর্থাৎ মাত্র ২৫ শতাংশ চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবার কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১১ মার্চের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, চিকিৎসকের অভাবে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসা দিতে না পারায় এ মাসেও ঘোষণা দিয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছিল দুটি হাসপাতালে। তবে উপজেলা হাসপাতালের এই চিত্র ‘পুরনো’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের পদায়নের চিত্র এ রকমই। এর মূল কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা।