বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত একদল বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।
তারা বলছেন, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবন ধ্বংস এবং তার ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এই ঘটনাকে ‘জঘন্য কার্যকলাপ’ আখ্যায়িত করে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ফ্যাসিবাদী ডানপন্থি, চরমপন্থি, ইসলামপন্থি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও পাকিস্তানপন্থি শক্তির দ্বারা এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্জিত স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল ভাবধারা ধ্বংস করার জন্যই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলেও তাদের দাবি।
বস্টন, নিউ ইয়র্ক, নর্থ ক্যারোলিনা, নিউজার্সি ও আটলান্টায় অবস্থানরত ১৭ জন শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীর স্বাক্ষর রয়েছে ওই বিবৃতিতে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওই বিবৃতি পাঠানো হলেও দ্য সান ২৪ এর কাছে পৌঁছে ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ বিকৃত করার যেকোনো প্রচেষ্টা শুধু ইতিহাসের ওপর নয়, বরং বাংলাদেশের ওপর আঘাতের শামিল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধাদের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে ওই শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীরা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শের ওপর এই আক্রমণ বিনা বিচারে পার পেতে পারে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির পাশে আছি, যারা কিনা ইতিহাসের বিকৃতি ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
বিবৃতিতে অন্যদের মধ্যে সই করেন, বস্টনের ড. বামন দাস বসু, নিউ ইয়র্কের ড. সৈয়দ হাসান মামুন, নিউজার্সির ড. নূরান নবী, ড. সিদ্দিকুর রহমান, নর্থ ক্যারোলিনারর ড. এবিএম নাসির, আটলান্টার ড. মোহাম্মদ আলী মানিক, নিউ ইয়র্কের ড. মাসুদুল হাসান, ড. প্রদীপ কর, নিউজার্সির ড. জীনাত নবী, নিউ ইয়র্কের ড. নাহীদ বানু, বস্টনের ড. বিনয় পাল, নিউ ইয়র্কের ড. আব্দুল বাতেন, বস্টনের ড. আশীষ দেব, নর্থ ক্যারোলিনার ড. সামশুদ্দিন ইলিয়াস, বস্টনের ড. অনুপ দেব, কাজী নিয়াজ ও ইকবাল ইউসুফ।