ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী সানায় নিহতের সংখ্যা ১৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।
আল–জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে দেশটির সাদা শহরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ থেকে ১০ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন।
হুতিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আল মাসিরাহ টেলিভিশন এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে হুতি–নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি বলছে, মার্কিন হামলায় ১৫ জন নিহত এবং আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
ইরান সমর্থিত হুতিরা ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।
এর জবাবে ইয়েমেনে ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী’ হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান এই হামলাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “ইরানের অর্থায়নে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আমাদের সেনা আর মিত্রদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তাদের (হুতি) জলদস্যুতা, সহিংসতা আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।”
এদিকে হামলার জবাব দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে হুতিরা।
এক বিবৃতিতে হুতি বলেছে, “রাজধানী সানায় আবাসিক এলাকায় ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ আগ্রাসনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দায়ী। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে শনিবারের হামলায় যুক্তরাজ্য সরাসরি অংশ নেয়নি। বরং দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে নিয়মিত সহায়তা করে আসছে।”