বুধবারের পত্রিকা : ‘অর্থনীতি সংস্কারে আগ্রহ কম, কমিটিতে হতাশা’

newspaper

বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বুধবার প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশের সংবাদপত্রগুলো। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন ও দলগুলোর প্রস্তুতির সংবাদের পাশাপাশি সরকারের সংস্কার উদ্যোগ সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব পেয়েছে কয়েকটি সংবাদপত্রে। এর বাইরে নির্বাচন ঘিরে নতুন দল গঠনের উদ্যোগ, গ্যাস সংকটে কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পুনর্গঠনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত সংবাদও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রগুলো। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বুধবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

প্রথম আলো

দেশের অর্থনীতি সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নিলেও এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের জোরালো উদ্যোগ নেই– এমন একটি খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘অর্থনীতি সংস্কারে আগ্রহ কম, কমিটিতে হতাশা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনীতি নিয়ে সংস্কারের দুটি প্রতিবেদন জমা পড়ে আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশ বাস্তবায়নে জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে অর্থনীতিতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থনীতিতে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলাদা দুটি প্রতিবেদন তৈরি করিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একটি হলো বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটির তৈরি শ্বেতপত্র। অন্যটি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র জমা দেওয়া হয় গত ১ ডিসেম্বর। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ৩০ জানুয়ারি। এর মধ্যে দুই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় কমিটির সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

কালের কণ্ঠ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিতে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘দল নিবন্ধনে তোড়জোড়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সময়সংকটের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দল নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান নাও করতে পারে। ইসির পক্ষে বলা হচ্ছে, গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদন আহ্বানের বিষয়টি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয়। এরই মধ্যে অনেক দলের আবেদন জমা হয়েছে। গত বছর আগের ইসির কাছে আবেদন করে যেসব দল নিবন্ধন পায়নি সেসব দলের অনেকে তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।

বর্তমান ইসি তাদের জানিয়ে দিয়েছে, নিবন্ধন চাইলে নতুন করে আবেদন করতে হবে। অন্তত ২৯টি দল নতুন করে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নতুন ১৩টি দল আবেদন করেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি দল ইসির সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করছে আইন সংস্কারের।

আইন সংস্কার না হলে এবং দল নিবন্ধনের শর্তে কোনো পরিবর্তন না হলে বিদ্যমান আইনেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল ভোটের জন্য দল নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, আগে (২০০৮ সালের আগে) যেভাবে দল নিবন্ধন ছাড়াই নির্বাচন হতো সেভাবেই নির্বাচন হোক। আবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করার সুপারিশ রেখেছে।

সমকাল

গ্যাস সংকটের কারণে কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘ঘুরছে কম কলকারখানার চাকা, উৎপাদনে ধাক্কা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাসের ঘাটতি দিনে প্রায় ১৩৫ কোটি ঘনফুট। গ্যাস-স্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে শিল্প খাত। এখন চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্পকারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলে এই সংকট দিন দিন বাড়ছেই। এতে ছেদ পড়ছে উৎপাদনে। বন্ধ হয়েছে শতাধিক কারখানা। অনেকটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে চলছে শ্রমিক ছাঁটাই। বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা নানা দাবিতে প্রায় দিনই সড়ক অবরোধ, ভাঙচুরসহ বিক্ষোভ করছেন। উৎপাদনে ধাক্কা লাগায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভোগান্তি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে, কারখানা চালু রাখার চেয়ে বন্ধ রাখলেই লাভ। বারবার শিপমেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন কারখানার গ্যাসের দর দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়লে নতুন বিনিয়োগ আসবে না।

জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, সহসাই গ্যাস সংকট দূর হবে না। আগে দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধানের চেয়ে আমদানিতেই সরকারের ঝোঁক ছিল বেশি। সম্ভাবনা থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে। এতে গ্যাসের উৎপাদন কমেছে। অন্যদিকে চাহিদা দিন দিন বেড়েছে। ফলে সংকট ঘনীভূত হয়েছে।

ইত্তেফাক

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সদস্য যুক্ত হওয়া এবং দপ্তর পুনর্বণ্টন সংক্রান্ত সংবাদকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘শিক্ষায় নতুন উপদেষ্টা আবরার, ওয়াহিদউদ্দিন শুধু পরিকল্পনায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আরো এক জন সদস্য যুক্ত হচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী অধ্যাপক সি আর আবরার আজ বুধবার উপদেষ্টা হিসেবে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেবেন। শপথের পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। আর বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক সি আর আবরারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হতে যাওয়ার তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন অধ্যাপক আবরার।

যুগান্তর

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। প্রকাশ্যে যে যাই বলুক, পর্দার আড়ালে জোর কদমে শুরু হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভোট সম্ভবত এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের দিকে তফশিল, ডিসেম্বরে ভোট এবং জানুয়ারিতে সরকার গঠন-এমন লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনি রোডম্যাপ সাজানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। ভোটের মেরুকরণ কী হবে, কোন দলের সঙ্গে কার জোট হবে; কার সঙ্গে কোথায় আসন সমঝোতা হবে-এসব বিষয়েও আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন দলসহ অনেকেই তিনশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের কথা বলেছেন।

বণিক বার্তা

অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এফবিসিসিআইয়েও সংস্কারের পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সংখ্যা ৫০-এর নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এফবিসিসিআইয়েও সংস্কারের দাবি ওঠে। এফবিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম। ১১ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের পর্ষদ বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান। তাকে ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে নির্বাচিত পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। এর পর পাঁচ মাস পেরোলেও এখনো সংস্কার শেষ না হওয়ায় নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়নি সংগঠনটিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সংগঠনটিতে সংস্কারের কাজটি আইনের ভিত্তিতেই সম্পন্ন করতে চাইছেন তারা। সরকারের কাছে তাদের তোলা এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২৩-এর নতুন বিধি প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সম্পন্ন হলেই এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নয়া দিগন্ত

সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতির দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘প্রতিটি গুমের ঘটনা শেখ হাসিনার নির্দেশে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে গত ১৫-১৬ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। প্রতিটি গুমের ঘটনা সরকারের ওপরের নির্দেশে করা হয়েছে। ওপর বলতে তখনকার প্রধানমন্ত্রীই হবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কমিশনে দাখিল করা গুম সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর মধ্যে ৭৪টি অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।

গুমের শিকার হয়ে খোঁজ না পাওয়া ৩৩০ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা বা ভাগ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চলমান আছে।

দেশ রূপান্তর

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রস্তুতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই ভোটে যাবে বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারাধীন সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফলে আগামীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তার আর কোনো আইনি বাধা থাকল না। এদিকে লন্ডনে চিকিৎসারত বাংলাদেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও কিছুটা উন্নতির দিকে। দলটির নেতাকর্মীরা আশা করছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (ত্রয়োদশ) আগেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন এবং তার নেতৃত্বেই তারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। অবশ্য ২০১৮ সালে ‘সাজা প্রাপ্ত’ আসামি হওয়ায় বাতিল হয়েছিল তার প্রার্থিতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। তিনি নিজেও এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। অপেক্ষা করছি লন্ডনে চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসন সুস্থ হয়ে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন। তার নেতৃত্বে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

আজকের পত্রিকা

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন করছে অন্তর্বর্তী সরকার– এমন একটি খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।

এই লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই খসড়া পর্যালোচনায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ইসি এনআইডি সেবা নিজের কাছে রাখতে চায়। সিইসি গতকাল মঙ্গলবারও বিষয়টি জানিয়েছেন।

অধ্যাদেশের খসড়ায় সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নাগরিকের আইনি সত্তা প্রতিষ্ঠায় জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা বৈশিষ্ট্যের স্থায়ী, ধারাবাহিক, সর্বজনীন, আবশ্যকীয় রেকর্ড সংরক্ষণে নিবন্ধন পদ্ধতি। কমিশনের কাজের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশন এই অধ্যাদেশের অধীন নাগরিকের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও দত্তক নিবন্ধন এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের সঙ্গে স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান সিভিল রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থার সার্বিক সমন্বয় ও উন্নয়ন করবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুত, বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে।

ইউনিক আইডি, সিআরভিএস (সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস) এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার, ইন্টার-অপারেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচারের ভিত্তিতে সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন; সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (যেমন ব্লকচেইন) ব্যবহার উপযোগিতা, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সরকারকে সুপারিশ দেবে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads