‘সুগার ড্যাডি’ কী? এশিয়ায় কোন দেশ শীর্ষে?

প্রতীকী ছবি। নিউ ইয়র্ক পোস্ট থেকে নেওয়া।
প্রতীকী ছবি। নিউ ইয়র্ক পোস্ট থেকে নেওয়া।

সম্পর্ক মূলত লেনদেন নির্ভর। তবে মিশে থাকে আবেগও। একে অন্যকে ভাল রাখাই মূল মন্ত্র। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল সম্পর্কের নতুন ধারা ‘সুগার ড্যাডি’ জায়গা করে নিয়েছে সমাজজীবনেও।

কেউ কেউ এই সম্পর্ককে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে দেখেন, আবার কেউ এটাকে নৈতিকতার দিক থেকে ভুল মনে করেন। তাই এই ধরনের সম্পর্কের বৈধতা এবং নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে।

কাকে বলে সুগার ড্যাডি?

আসলে এক বিশেষ ধরনের সম্পর্কের বর্ণনা দিতে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের সম্পর্কে একজন বয়স্ক এবং ধনী পুরুষ একজন কম বয়সী সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। পাশাপাশি ওই ধনী ব্যক্তি সঙ্গীকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধাও দেন।

চলতি ভাষায় এই ধরনের সম্পর্কে লিপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে ‘সুগার ড্যাডি’ বলা হয়। যদিও বিষয়টির কোনও ব্যাকরণগত বা আইনি ভিত্তি এখনও পর্যন্ত নেই।

তবে এই সম্পর্কের চর্চা নতুন নয়, যুগ যুগ ধরেই চলে এসেছে। ১৯ শতকে বিশেষ করে এই ধরনের সম্পর্ক বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

অর্থ, বিলাসিতাকে সেই সময় ‘সুগার’ বলে উল্লেখ করা হত। ১৬ শতকে আবার বয়সে বড় গ্রাহককে ‘ড্যাডি’ বলতেন রক্ষিতা বা উপপত্নীরা। ওই দুই শব্দ জুড়েই ‘সুগার ড্যাডি’ শব্দের উৎপত্তি হয়।

বিশেষ করে ১৯২০ সালে এই শব্দটি প্রচার পায় মুখে মুখে।

সাহিত্যিক গিলবর্ট ফ্রাঙ্কার লেখালেখিতেও ‘সুগার ড্যাডি’ উল্লেখ পাওয়া যায়।

তবে শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাতের দশকে। ১৯৭৫ সালে ব্রিটিশ রকব্যান্ড ফ্লিটউড ম্যাক গান তৈরি করেন ‘সুগার ড্যাডি’ নিয়ে।

সম্প্রতি, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে স্ট্যাটিস্টা এশিয়া। এই সমীক্ষায় বয়স্ক পুরুষেরা পরিচয় গোপন রেখে নিজেদের সুগার ড্যাডি হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং তথ্য সরবরাহ করেছেন।

স্ট্যাটিস্টার সমীক্ষা অনুযায়ী, এশিয়ার মধ্যে সুগার ড্যাডির সংখ্যায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। তিন লক্ষ আটত্রিশ হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন ভারতে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এখানে ষাট হাজারেরও বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং জাপান। এই দু’টি দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা প্রায় বত্রিশ হাজার পাঁচশো।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। এখানে প্রায় সাতাশ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।

তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এখানে বারো হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।

তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সপ্তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা যথাক্রমে এখানে আট হাজার এবং পাঁচ হাজারের মতো।

তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া। এখানে সাড়ে তিন হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছে।

তবে এই সমীক্ষা কবে, কোথায় কিসের ভিত্তিতে হয়েছে তা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। কাজেই প্রশ্ন রয়েছে এই সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।

আরও পড়ুন