হিন্দু ধর্মীয় গুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন আবারও খারিজ হয়েছে। অবশ্য এ যাত্রায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার চিন্ময় দাসের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে আনা হয় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে, এবং করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ ছাড়াও ১৮ জন আসামি রয়েছেন।
২২ নভেম্বর রংপুরে আরও একটি সমাবেশ হলে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।
এর আগে একাধিকবার তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি ফের খারিজ করে দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
তাকে জামিন না দেওয়ার যুক্তি হিসেবে সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, চিন্ময়কৃষ্ণের নামে দেশদ্রোহিতা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। পুলিশের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই অবস্থায় তাকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে।
সন্ন্যাসীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তিনি অসুস্থ। তার চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই আর্জি অবশ্য গৃহীত হয়নি।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে বলেছে, তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে।