রাজধানীরা জাতীয় ঈদগাহে নেমেছিল মানুষের ঢল। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সচিবসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এসময় তিনি বলেন, “ঈদ দূরত্ব ঘোচানোর ঈদ, নৈকট্যের ঈদ, ভালোবাসার ঈদ। আজ সেই দিনটা যেন গভীর ভালোবাসার সঙ্গে উদযাপন করতে পারি…সেই বার্তা যেন সবার কাছে পৌছে দিতে পারি। আজ একটা অটুট, ঐক্য গড়ে তোলার দিন। আমরা স্থায়ীভাবে এই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ঈদের জামাতে এটাই আমাদের কামনা।”

ইউনূস বলেন, “আজকের দিনে আমরা প্রার্থনা করি …আমরা যেন একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি। যারা আত্মত্যাগ করেছেন, দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য , নিজেদের আত্মাহুতি দিয়েছেন, বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না, তাদের স্মরণে আমরা যেন মোনাজাত করি আল্লাহর কাছে। আমরা সেই স্বপ্ন অবশ্যই বাস্তবায়ন করবই। শত বাধা সত্ত্বেও , যত বাধাই আসুক, আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে এই নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই ইনশাল্লাহ।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার যারা সুযোগ করে দিয়েছেন যেসব শহীদরা, যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, আমরা তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন, যারা স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন। এ দেশের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করতে যারা বাধ্য হয়েছেন তাদের স্বাভাবিক জীবনের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য, রোগমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করি।”