জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের মালিকানার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান।
বুধবার মামলার শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ। মামলার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জুবাইদা জামিনে থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে।
আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে আরো ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ও আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।
এর আগে মঙ্গলবার এই মামলায় জুবাইদা রহমানের আপিলে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
দীর্ঘদিন স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে ছিলেন জুবাইদা, ১৭ বছর পর সম্প্রতি শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন তিনি।
মঙ্গলবার ওই মামলার রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করেন জুবাইদা রহমান।
“আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে মামলার নথি তলব করে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে,” বুধবার সাংবাদিকদের বলেন মিজ রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল।