টানা ১৭ মিনিট ভাষণ দিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান। তার শব্দ চয়নে হুমকির সুর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যে ভাষায় বললেন, তাতেই বুঝে নেওয়া যায় তার চড়া সুর। জুলাই অভ্যুত্থানের পর এত কড়া ভাষায় তাকে কথা বলতে আর দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার ঢাকার মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে’ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার প্রথমেই জানিয়ে দিলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের কোনও ইচ্ছা তার নেই।
তারপরই বলেলেন, “আপনারা কেউ কিছু মনে করবেন না, আমি আজকে পরিষ্কার করে কিছু কথা বলতে চাই। আপনাদের সবার হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমার কথাগুলো যদি গ্রহণ করেন, তবে আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না।”
এই ভালো লাগা না লাগার কথায় তিনি আহ্বান জানালেন মারামারি-কাটাকাটি বন্ধ করার। সেজন্য সব পক্ষকে সতর্কও করে দিলেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তিনি যে সন্তুষ্ট নন, তাও বুুঝিয়ে দিলেন। ইংরেজিতে বললেন – “আই হ্যাড এনাফ, লাস্ট সেভেন অর এইট মান্থ আই হ্যাড এনাফ।” যদি তিনি বাংলায় বলতেন, তাহলে কথাটি হয়তো হতো- “গত সাত-আট মাসে অনেক সহ্য করেছি, আর নয়।”
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে যে হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে একথাও জানালেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার কথার বাইরে যাচ্ছেন না। প্রধান উপদেষ্টাকে মাননীয় সম্বোধন না করে ‘ড. ইউনূস’ সম্বোধনও কানে লেগেছে অনেকের।
জুলাইয়ের পর সেনাপ্রধানের কথাবার্তাকে যারা ‘মিউ মিউ’ বলছিল, তাদের কাছে এবার এই ভাষণ বাঘের গর্জনের মতোই ঠেকেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়ের ভাষণ শুনে ফেইসবুকে লিখেছেন- “দেশের সেনাপ্রধান তো আর বিড়াল না যে মিঁউ মিঁউ কইরা কথা বলবে। তিনি সৈনিক, সৈনিকের মতোই কথা বলবেন। প্রেম-পিরীতের মিষ্টি আলাপ, আর বাইসেপ দেখায়ে চেঁচামেচি করা তাঁর কাজ না।”

জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসে থেকে সমর্থন দেওয়া ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য ঠিকই বুঝেছেন সেনাপ্রধানের কর্তৃত্বের সুর। সেনাপ্রধান ভয় দেখাচ্ছেন বলেও তার মনে হয়েছে। তা নিয়ে ফেইসবুকে লিখেছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টাকে সেনাপ্রধানের সম্বোধন বাক্যও ঠিকই কানে লেগেছে তার। তিনি লিখেছেন- “ওয়াকার হাসিনার পলায়নের পরে বলছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর আজকে প্রফেসর ইউনুসকে বলে ডক্টর ইউনুস!!”
সেনাপ্রধানের এই ভাষণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ইউনূসের কর্তৃত্ব আর রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পিনাকী। তার ভাষ্যে, “এই বক্তব্যের পরে প্রফেসর ইউনুসের অথরিটি থাকে? থাকে না।”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অষ্টাদশ প্রধান হিসাবে গত বছরের জুন মাসের শেষ দিকে দায়িত্ব নেন জেনারেল ওয়াকার। তার সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়তার সম্পর্ক তখন ছিল আলোচনায়।
পরের মাসেই কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলন শুরু হলে তা দমনে কারফিউ জারি করে মাঠে সেনা নামিয়ে দেয় শেখ হাসিনার সরকার।
কিন্তু ব্যাপক দমন অভিযানে শত শত লাশের মিছিল আন্দোলন আরো বেগবান করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভেতরেও দেখা দেয় অসন্তোষ। শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিকালে জেনারেল ওয়াকারই প্রথম সাংবাদিকদের সামনে এসে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন এবং এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে।
সেদিন সেনানিবাসে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন জেনারেল ওয়াকার। এরপর রাতে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন যখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, তখন তা যে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা জেনারেল ওয়াকারসহ তিন বাহিনী প্রধানের সায় নিয়ে দিয়েছিলেন, তা অনেকটাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের কারণে।
তার তিন দিন পর ইউনূস দেশে ফিরলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরই নিজেদের নিয়োগকর্তা বলেছিলেন তিনি। তার সরকারে তিনজন ছাত্রনেতাকে উপদেষ্টার দায়িত্বও দেন।
২০০৭ সালে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারির পর এমন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে। কিন্তু সেই সরকারের নাটাই যে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের হাতে ছিল, তা নিয়ে কোনো রাখঢাক ছিল না। সেই কারণে সেই সরকারকে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হয়।
কিন্তু এবারের সেনাবাহিনীর সমর্থন থাকলেও হস্তক্ষেপ তেমন টের পাওয়া যাচ্ছিল না। বরং বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিই দেখতে হয়েছিল দেশবাসীকে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিন দিন সরকারশূন্য হয়েছিল দেশ। সেই সময়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটি সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও নেতাদের বাড়ি-ঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল সারাদেশে। হামলা হয়েছিল মাজার, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরও।
অভ্যুত্থানের ছয় মাস পর নতুন করে রব তুলে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক স্খাপনা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি বিলীন করে দেওয়া হয়। আবারও হামলা শুরু হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় মানুষের নিরাপত্তাহীনতা আবার চরমে উঠলে যৌথবাহিনীর টহল ও অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তার কয়েকদিনের মধ্যে কড়া ভাষায় ভাষণ দিলেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি যে প্রস্তুতি নিয়েই ভাষণ দিতে এসেছিলেন, তা বোঝা যাচ্ছিল সামনে থাকা কাগজের স্লিপে তার চোখ বোলানো দেখে। প্রতিটি বিষয়ে কথা বলার আগে কাগজে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজ বলে দিলাম, নাহলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের।”
গত কয়েক মাসের ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এখানে যে সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড। আমরা এইগুলো তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি শৃঙ্খলা আসবে না।”
অভ্যুত্থানের পর অভিযোগবিদ্ধ পুলিশ যে পূর্ণ গতিতে কাজে ফিরতে পারছে না, তা তুলে ধরে তার অবসানের কথাও বলেন জেনারেল ওয়াকিার।
“আজ পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন না। কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌবাহিনী ‘প্যনিকড’। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম, খুন ইত্যাদির তদন্ত চলছে, অবশ্যই তদন্ত হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনভাবে কাজটা করতে হবে যেন এসব সংস্থা আন্ডারমাইন্ড না হয়।”
সংস্কারে হাত দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট করছে না। তবে সেনাপ্রধান গত বছরের সেপ্টেম্বরেই দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলেন। ভাষণে আবার বললেন সেকথা।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর যখন সেনাপ্রধান রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তখন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই অনেকটা কড়া ভাষায় বলা হয়েছিল, নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে।
কিন্তু মঙ্গলবারের ভাষণে সেনাপ্রধান বললেন, “আমি যতবারই ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি সর্ম্পূণভাবে আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন। দেয়ার শুড বি ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন। এবং সেই ইলেকশন ডিসেম্বর অথবা এর কাছাকাছি সময়ে হবে। আমি আগেই বলেছি, ১৮ মাসের মধ্যে (নির্বাচন) করতে… আমার মনে হয় সরকার হয়তো সেই দিকেই ধাবিত হচ্ছে।”
অভ্যুত্থানকারীরা যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরব, তখন সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের মানে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে এই ঘটনা নিয়ে নানা গুজব-গুঞ্জন নিয়েও কথা বলেন জেনারেল ওয়াকার। তার ভাষ্যে, “একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুল স্টপ। এখানে কোনো ইফ এবং বাট (যদি/কিন্তু) নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।”
অর্থাৎ আওয়ামী লীগ আমলে তদন্ত, বিচারকেই এখানে গুরুত্ব দিচ্ছেন সেনাপ্রধান, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকেই সেই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে।
এই দিবসের বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, পিলখানায় বীর সেনাসদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেক বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে।
কিন্তু সেনাপ্রধানের ভাষণে বলা হলো, “আমরা নিজেরাই এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি, এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি, যে আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।”
এদিকে সেনাপ্রধানের এই কঠোর সুরে আপত্তি তুলে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, আরব বসন্তের পর মিশরের সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি যেভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, জেনারেল ওয়াকারও তেমন উচ্চাভিলাষ দেখাচ্ছেন।
“ওয়াকার জেনারেল সিসি হইতে চাইতেছে। সে ইন্ডিয়ান প্লানিং এ ক্ষমতা টেক ওভার করার উদ্যোগ নিছে। আবার সে হুমকি দেয়। সতর্ক করে। কারে হুমকি দেয়? কারে সতর্ক করে?”
জেনারেল ওয়াকারের পরিকল্পনা মাফিকই সব হচ্ছে বলে দাবি করেন পিনাকী; যিনি প্যারিসে থেকে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “এইবার বুজছেন তো এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কার ইশারায় হইতেছে? ক্যান সে (ওয়াকার) মাঠে থাকা আর্মিকে বসে বসে সব দেখার নির্দেশ দিছে। কিছু না করার নির্দেশ দিছে? সে ডিজিএফআইয়ের সব আকামের সাফাই দিতেছে।”
“তবে দুনিয়া আর আশির দশকে নাই। আপনার সাত মাসে কী এনাফ কাজ করিছেন, তা পাব্লিক করবো। কী কী আকাম করিছেন আরো সেইগুলা সব জনগণকে জানাবো,” পিনাকী বলেন ওয়াকারকে হুঁশিয়ার করে।
জেনারেল ওয়াকার অবশ্য ভাষণে বলেছেন, তার অন্য কোনো বাসনা নেই।
“আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা- দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি করা। আমি চাই, দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফিরত আসব।”
সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ না করার আহ্বানও জানান জেনারেল ওয়াকার। তিনি বলেন, “আমি কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, কী কারণে যেন সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও। কী কারণে আমি জানি না।
“এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সাহায্য করেন, আমাদের আক্রমণ করবেন না।”
এ সম্পর্কিত আরও খবর:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক হানাহানি নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান