ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় যে সবার মনে উদ্দীপনা কাজ করে তা নতুন কিছু নয়। এবারও উদীপ্ত বাংলাদেশের ফুবলাররা। এর সঙ্গে একার যুক্ত হয়েছে নতুন আকর্ষণ। ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরীর সঙ্গে প্রথমবার কোনো ম্যাচে খেলার হাতছানি। এই দুইয়ের যোগফলে ২৩ জনের দলে জায়গা নিশ্চিত করতে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই নেমেছেন ফুটবলাররা।
অনুশীলনে না থাকলেও বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে তুমুলভাবেই আছেন হামজা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে খেলার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই প্রবাসী ফুটবলার এবারই প্রথম দেশের হয়ে খেলবেন কোনো ম্যাচে। তার সঙ্গে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার সম্ভাবনায় ভীষণ রোমাঞ্চিত মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এই ফরোয়ার্ড বললেন, ভারতের বিপক্ষে ও হামজার সঙ্গে খেলা সুযোগ দুটি লুফে নিতে প্রস্তুতিতে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন তারা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচ হবে আগামী ২৫ মার্চ, শিলংয়ে। এই মহারণকে সামনে রেখে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করছে দল। নিবিড় অনুশীলনের জন্য বুধবার সৌদি আরবে যাবে তারা।
সেখানে প্রথমবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ইতালির সেরি ডিতে খেলা ফরোয়ার্ড ফাহামেদুল ইসলাম। লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা হামজা আরও দুই সপ্তাহ পর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ইব্রাহিম জানালেন, হামজার খেলতে উন্মুখ সবাই।
“আমরা ৩০ জন অনুশীলন করছি। কঠিন সেশন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও অনেক। কারা সেরা একাদশে খেলবে, কারা খেলবে না… কোচ বলেছেন, যারা অনুশীলনে ভালো করবে, তারাই সেরা একাদশে খেলবে। একারণে গত চার দিনের প্রস্তুতিতে ওটার জন্য (দলে থাকার) বেশি লড়াই চলছে।”
“ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, এছাড়া হামজা ভাই আছে, ওর সাথেও খেলার জন্য সবাই রোমাঞ্চিত। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই চেষ্টা করছি নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলে থাকার জন্য, সেরা একাদশে খেলার জন্য। বাকিটা কোচের সিদ্ধান্ত। আসলে ভারতের বিপক্ষে সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জয় ছিনিয়ে আনার জন্য।”
মাঝমাঠে হামজার সঙ্গী হতে পারেন মোহাম্মদ হৃদয়। এই মিডফিল্ডার আশাবাদী দেরিতে যোগ দিলেও দলের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন হামজা।
“আপনারা সবাই জানেন, হামজা ভাই অনেক ভালো মানের খেলোয়াড়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা পরীক্ষিত একজন খেলোয়াড়। আমি মনে করি, তার সঙ্গে যদি খেলতে পারি, সেটা অনেক সৌভাগ্যের একটা বিষয়। আর আপনারা কম্বিনেশনের যে বিষয়টা বললেন, তিনি যদি দলের সাথে যোগ দেন, তাহলে ইনশাল্লাহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।”
“আমরা শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে এই ম্যাচটা জন্য প্রস্তুত। দলে অনেক খেলোয়াড়। কোচ সিদ্ধান্ত নেবেন কে খেলবে, কে খেলবে না। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি, কীভাবে ভালো করে সেরা একাদশে জায়গা করে নেওয়া যায়।”
ভারতের মাঠে সবশেষ ২০১৯ সালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সল্টলেকে শেষ দিকে গোল খেয়ে ১-১ ড্র করেছিল সফরকারীরা। এবার জয় নিয়ে ফিরতে উন্মুখ হৃদয়।
“আমরা সবসময় মনে করি, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, সে শক্তিশালী। তো আমরা যদি আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সে অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ভালো একটা ফলের আশা আছে; ইনশাল্লাহ।”