পাহাড়ি পথে বা সমতলে, আকাশপথ বা সড়ক পথে যাতায়াত করার সময় বমি হওয়ার সমস্যা অনেকেরই হয়। এটাকে ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। চলন্ত অবস্থায় শরীরের সঙ্গে সঠিক সমন্বয় না থাকলে এটা হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যার মূল কারণ হল চোখ, কান ও মস্তিষ্কের মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাব। ‘ভেস্টিবিউলার সিস্টেম’ নামে এক বিশেষ সিস্টেম আমাদের শরীরের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই সিস্টেমে ছন্দপতন ঘটে, তখনই মোশন সিকনেস বা বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
তবে এই ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু সহজ উপায় রয়েছে। প্রথমত, মোশন সিকনেসের জন্য বাজারে নানা ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে ওষুধ খাওয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করা প্রয়োজন, তাই ভ্রমণের আগেই ওষুধ খেয়ে নেওয়া উচিত। প্রমেথাজিন থিওক্লেট এবং প্রোক্লোরপেরাজিন জাতীয় ওষুধ এই সময় সবচেয়ে কার্যকর।
এছাড়া, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে বমি ভাব কমানোর জন্য কিছু উপায় রয়েছে। চাইলে এই ধরনের ওষুধও নিতে পারেন।
তবে দীর্ঘ সফরের সময় ভরা পেট বা খালি পেটে যাত্রা করা উচিৎ নয়। হালকা খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভাল এবং ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যদি সফরটি দীর্ঘ হয়, সঙ্গে কিছু শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, ড্রাই ফ্রুটস বা চকোলেট রাখতে পারেন।
গাড়িতে উঠলে মোবাইল দেখা বা বই পড়ার বদলে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। বমি ভাব এড়াতে মুখে লবঙ্গ বা লেবু পাতা রাখতে পারেন। এছাড়া কর্পূরের গন্ধও কিছুটা উপকার দিতে পারে। গাড়িতে এসি না চালিয়ে কাচের জানালা কিছুটা খুলে রাখলে বাইরের হাওয়ায় শরীর ভাল থাকতে পারে।
যদি মনে হয় বমি আসছে, তাহলে কিছু সময় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিলেও সফর আরও আরামদায়ক হবে। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে ভ্রমণ অনেক সহজ হবে।