জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ সমাবেশ ঘিরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যাদের নিজেদের নেতাকর্মী বলে শনাক্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত তথ্য মিলেছে, যাদের বেশিরভাগকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে এ পর্যন্ত চার জনের মৃতদেহ এসেছে।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বিবিসি বাংলাকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
প্রথম আলোসহ বেশ কিছু সংবাদপত্রে দুই জনের পরিচয় এসেছে, এদের মধ্যে একজন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও অন্যজন কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)।
অবশ্য নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি দ্য সান ২৪।
বুধবার এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর জন্মভিটায় উত্তেজনার মধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতার রোশে ভাঙচুর করা হয় এনসিপির সমাবেশস্থল, ইউএনও’র গাড়ি; এছাড়া পুলিশের গাড়িতেও বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়।
তীব্র প্রতিরোধের মুখে এনসিপির নেতারা পুলিশি পাহারায় কয়েক মিনিটের ‘ফটোসেশন’ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা গোপালগঞ্জে আটকা পড়েন। অবশ্য পরে তাদেরকে সাঁজোয়া যানে করে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ সম্পর্কিত মূল খবর: