ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা চূড়ান্ত না হলেও ভোটের মাঠ নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে ‘সবার আগে’ নেমে পড়েছে জামায়াতে ইসলামী। দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সমাবেশে এ পর্যন্ত ৩১ জেলার প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি, যাদেরকে ‘প্রাথমিক বাছাই’ বলছেন তারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে নির্বাচনের আগে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছিল জামায়াত। এ নিয়ে এক সময়ের মিত্র বিএনপির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিও হয়েছিল।
অবশ্য সেই জামায়াত সব রাজনৈতিক দলের আগেই প্রার্থী ঘোষণা করতে শুরু করেছে, যদিও নির্বাচন কমিশনে জামায়াত এখনো নিবন্ধন ফিরে পায়নি; দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনী এলাকাগুলোয় দলের অবস্থান সুসংহত করা। বাংলাদেশে কিছু এলাকায় জামায়াতের দল হিসেবে শক্ত অবস্থান থাকলেও বেশিরভাগ এলাকাতেই সাংগঠনিক অবস্থান তেমন একটা দৃঢ় নয়। সে কারণেই দলীয় নেতৃত্ব চাইছেন প্রতিটি এলাকাতেই যেন সংগঠন হিসেবে দলটির কার্যক্রমে গতিশীলতা আসে।
অন্যদিকে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিপক্ষ হয়ে পড়া বিএনপির সারাদেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতেই ভালো অবস্থান আছে, বিশেষ করে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের না থাকার সুযোগে বিএনপিই এই মুহূর্তে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই জামায়াত নেতৃত্ব মনে করছে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি জায়গাতেই দলের অবস্থান তৈরি করা সহজ হবে।
আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত। এরই মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। শতাধিক আসনে শক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় দলটি। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫০টি, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৫০টি আসনে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অবশ্য নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর ঐক্য কিংবা জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। তবে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোনো আসনে ছাড় দিতে রাজি হবে না দলটি।
জামায়াতের মুখপাত্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রথমত জামায়াত ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সঙ্গে এটাও বিবেচনায় নিয়েছে যে, অতীতে যেহেতু জামায়াত ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছে, এবারও যাতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।”
যদিও জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দাবি দলটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জামায়াত এখনো অফিশিয়ালি প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এটা প্রাথমিক সিলেকশন। ইলেকশন এখনো অনেক দূর। ইলেকশন কাছে এলে দল ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবে। তখন যাদের নমিনেশন দেবে, তারাই প্রার্থী হবেন।”
জামায়াতের রাজনীতির পর্যবেক্ষক ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একজনকে সামনে রেখে স্থানীয়ভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আবার ঘোষিত প্রার্থী নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার প্রমাণ রাখতে পারেন কি-না সেটিও দল যাচাই করতে পারবে।”
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, “নির্বাচন কেন্দ্র করে যে কোনো রাজনৈতিক দলই প্রস্তুতি নিতে পারে। তা কখন নেবে সেটি তাদের বিষয়। সামনে নির্বাচন হতেই হবে। সে ক্ষেত্রে যেসব দল আগে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিত না, তারা বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
জামায়াত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আগাম শক্তির জানান দিচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি ও জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
নিবন্ধন না থাকায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের অংশ ছিলো বিএনপি। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ওই জোট তখন ক্ষমতায় গিয়েছিলো।
তবে এককভাবে জামায়াত সবচেয়ে ভালো ফল করেছিলো ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিলো দলটি। তখন জামায়াতের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করেছিলো বিএনপি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে ৩১ জেলার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। প্রার্থীরা হলেন-
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনেও জামায়াতের প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম ৪ (সীতাকুণ্ড) আনোয়ারুল সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) শাহজাহান মঞ্জুর, চট্টগ্রাম ৭ (রাঙ্গুনিয়া) অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ইঞ্জিনিয়ার লোকমান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) ডা. শাহাদত হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) শাহজাহান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম।
সিলেট
প্রার্থীদের মধ্যে সিলেট-১ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানানো হয়। এ ছাড়া সিলেট-২ আসনে অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সিলেট-৩ আসনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ আসনে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ আসনে জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান ও সিলেট-৬ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের চারটি আসনে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁরা হলেন মৌলভীবাজার-১ আসনে আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ আসনে জেলা আমির এম শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে সাবেক জেলা আমির আবদুল মান্নান ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে আবদুর রব।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে সুনামগঞ্জ জেলার আমির তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সিলেটের জজ কোর্টের এপিপি ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সুনামগঞ্জ জেলার নায়েবে আমির মুহাম্মদ শামসউদদীন ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে গোবিন্দনগর ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সালাম আল মাদানীকে প্রার্থী করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ-১ আসনে সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের শুরা সদস্য শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ আসনে হবিগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমেদ ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে হবিগঞ্জ জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান প্রার্থী হবেন বলে দলটি জানিয়েছে।
খুলনা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনার ছয়টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-১ আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির শেখ আবু ইউসুফ, খুলনা-২ আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এবং খুলনা-৩ আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মহানগরীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। খুলনা-৪ আসনে খুলনা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সেক্রেটারি জেনারেল ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
গোপালগঞ্জ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ ১ আসনে (মুকসুদপুর- কাশিয়ানী আংশিক) দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গোপালগঞ্জ এস কে কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসেরিন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবদুল হামিদকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করেছে জামায়াত।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে দৌলতপুর উপজেলা জামায়াতের আমির বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও মিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য ফরহাদ হুসাইন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে (কুমারখালী-খোকসা) আসনে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসাইনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী
রাজশাহীর পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রাথমিক বাছাইভিত্তিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।
যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো: রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান; রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ডা. আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে জেলার সহকারী সেক্রেটারী নুরুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে জেলার আরেক সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক নাজমুল হক। রাজশাহী-২ আসনের প্রার্থীর কথা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জামায়াত।
নাটোর
নাটোর জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দল মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন— নাটোর-১ আসনে লালপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর এবং লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল কালাম আজাদ, নাটোর- ২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও নাটোর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, নাটোর-৩ আসনে জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক প্রফেসর সাইদুর রহমান এবং নাটোর-৪ আসনে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হাকিম।
নওগাঁ
নওগাঁর পাঁচটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। নওগাঁর ১১টি উপজেলা নিয়ে ৬টি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাহবুবুল হককে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা দুটি নিয়ে গঠিত নওগাঁ-২ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হককে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। মান্দা উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৪ আসনে জেলা জামায়াতের আমির খন্দকার মুহাম্মদ আবদুর রাকিবকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম সায়েমকে। রানীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে আত্রাই উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ খবিরুল ইসলামকে। বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের নয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।প্রার্থীরা হলেন- সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদরের একাংশ) আসনে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আলী আলম ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে উপজেলা আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
এদিকে রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে এখনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
মেহেরপুর
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুরের দুটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। এতে মেহেরপুর-১ আসনে (সদর-মুজিবনগর) মাওলানা তাজ উদ্দীন খাঁন ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নাজমুল হুদা প্রার্থী হিসেবে জায়গা পেয়েছেন। মাওলানা তাজ উদ্দীন খাঁন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির এবং নাজমুল হুদা গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য।
ফেনী
ফেনী-৩ (দাগনভূঞা -সোনাগাজী) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থী হিসেবে ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. ফখরুদ্দিন মানিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) ঢাকা মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে জামায়াতের সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল কাওয়ুম।
টাঙ্গাইল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ৮টি আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলায় প্রাথমিকভাবে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। আটটি আসনে প্রার্থীরা হলেন- টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) অধ্যক্ষ মন্তাজ আলী, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) হুমায়ূন কবীর, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) হুসনে মোবরক বাবুল, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) প্রফেসর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) আহসান হাবীব মাসুদ, টাঙ্গাইল-৬ (বাসাইল-সখীপুর) শফিকুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার এবং টাঙ্গাইল-৮ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে ডাক্তার আব্দুল হামিদ।
ফরিদপুর
ফরিদপুর ৪ সংসদীয় আসনে প্রার্থীরা হলেন ফরিদপুর-১ আসনে ঢাকা জেলা শাখার শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ মোল্লা, ফরিদপুর-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৩ সদর আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব ও ফরিদপুর-৪ আসনে ভাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সরোয়ার হোসেন।
নেত্রকোনা
নেত্রকোণা ৫টি আসনে প্রার্থীরা হলেন, নেত্রকোনা-১, দূর্গাপুর-কলামাকান্দা আসনে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও কলমাকান্দা উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, নেত্রকোনা-২, সদর-বারহাট্রা আসনে সাবেক জেলা আমির ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, নেত্রকোনা-৩, আটপাড়া কেন্দুয়া আসনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও আটপাড়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল, নেত্রকোনা-৪, মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী আসনে ময়মনসিংহ মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, নেত্রকোনা-৫, পূর্বধলা আসনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও পূর্বধলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে ছয়টির মধ্যে ৫টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা হলেন- কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর উপজেলা) আসনে অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া উপজেলা) আসনে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোড়ল, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলা) আসনে শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর উপজেলা) আসনে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়াচর উপজেলা) আসনে ভৈরব উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা কবির হুসাইন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ১১টির মধ্যে ১০টি আসনের প্রার্থীরা হলেন- ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে মাহবুব মণ্ডল, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে আসাদুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ইসমাইল হোসেন ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে সাইফ উল্লাহ পাঠান। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের ৬টি আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মতিউর রহমান, দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে মো. আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে শিক্ষাবিদ মো. আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ – বিরামপুর – হাকিমপুর – ঘোড়াঘাট) আসনে মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
শেরপুর
শেরপুর ৩টি সংসদীয় আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, শেরপুর সদর-১ আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর ২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবির এর সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপি ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বাদল।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা নায়েবে আমির ও বর্তমান জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোসাদ্দেক ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও কটিয়াদী উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর শাখার আইন বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ মো. রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে সাবেক ছাত্রনেতা ও ভৈরব উপজেলা আমীর মাওলানা মো. কবীর হোসাইন।
পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে দুটি আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, পঞ্চগড়-১ (পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী) আসনে পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির ও তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন এবং পঞ্চগড়-২ (দেবীগঞ্জ, বোদা) আসনে বোদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বোদা উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো. সফিউল্লাহ সুফির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য দেলাওয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর-রানীশংকৈলের একাংশ) জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলের একাংশ) জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর ৪টি আসনে মনোনীতরা হলেন, পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) ঢাকা মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে জামায়াতের সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল কাওয়ুম।
পিরোজপুর
পিরোজপুরে ৩টি আসনে ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- পিরোজপুর-১ (সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী) আসনে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাইদী, পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ, কাউখালি ও ভান্ডারিয়া) আসনে আল্লামা সাইদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাইদী ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মঠবাড়িয়া উপজেলা আমির অধ্যাপক শরীফ মোহাম্মদ আব্দুল জলীল।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের চারটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রার্থীরা হলেন- ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিনাকুণ্ডু) আসনে জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর, ঝিনাইদহ -৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবেক আমির অধ্যাপক মতিউর রহমান ও ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) আসনে কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা আবু তালেব।
ঝালকাঠি
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঝালকাঠির দুটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে অধ্যাপক ডা. মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন ও ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনে শেখ নেয়ামুল করিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।
শরীয়তপুর
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ তালুকদার, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া ও সখিপুর) আসনে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল এবং শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট) আসনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-১
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াতের হয়ে নির্বাচন করবেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন কার্যালয় উদ্বোধনকালে জেলা আমির রুহুল আমিন এ ঘোষণা দেন।