বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে দলের নাম কী হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, “জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আমরা শপথ নেব। কারণ বিগত ৫৪ বছর ধরে জাতীয় সংসদকে স্বৈরাচারের উৎপাদন ক্ষেত্র এবং দলীয় নীতিনির্ধারণের জায়গা বানানো হয়েছিল।”
সংসদকে স্বৈরাচারের উৎপাদন ক্ষেত্র বানিয়ে রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র।
“তাই আমরা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে সামনে রেখে, জাতীয় সংসদকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের নতুন রাজনৈতিক দলে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীর স্বার্থ, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পর তাদের কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক কাঠামো পায়নি। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ কিংবা ২০০৭, এরপর ২০২৪, এই অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত দল হিসেবে ছাত্ররা নতুন দল ঘোষণা করবে।”
দলের নাম কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “দলের নাম নিয়ে অনেক প্রস্তাবনা এসেছে। জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে নাম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
আংশিক বিশ্লেষণ শেষে জনতার দল, নাগরিক শক্তি, রিপাবলিক পার্টি, নাগরিক দল, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি ইত্যাদি নাম বেশি এসেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দলের প্রতীক নিয়ে পরামর্শ এসেছে সংগ্রাম ও উন্নয়নের প্রতীকগুলো এবং জাতীয় প্রতীকের কথা বেশি এসেছে। যেমন- উদীয়মান সূর্য, বই, কলম।