সপ্তাহ দুয়েক আগে যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পঞ্চাশ দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে ১০ থেকে ১২ দিনের বেশি সময় পাবেন না পুতিন।
এর ব্যতিক্রম ঘটলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে এই নতুন আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে প্রথমবার আল্টিমেটাম দেওয়ার সময় ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে না পারলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর মারাত্মক শুল্ক আরোপ করা হবে।
আর এখন তিনি বলছেন, “অপেক্ষা করে থাকার কোনও কারণ নেই, যদি আপনার জানা থাকে উত্তরটা কী হবে।”
নতুন সময়সীমার মধ্যে কোনও অগ্রগতি না হলে ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং রুশ রপ্তানি পণ্য যারা কেনে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়েছেন।
ইউক্রেইনে হামলা অব্যাহত রাখায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে ফের হতাশা প্রকাশ করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্র যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার তোয়াক্কা না করে পুতিন একই পথে থাকছেন।
সোমবার যুক্তরাজ্যে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর হতাশ। আমি তাকে ৫০ দিনের যে সময়সীমা দিয়েছিলাম, সেটি কমিয়ে আনব, কারণ আমি জানি, শেষ পর্যন্ত কী হতে যাচ্ছে।”
“আমরা ভেবেছিলাম, আমরা অনেকবার সমাধানে পৌঁছেছি। তারপর হঠাৎ প্রেসিডেন্ট পুতিন কিইভের মতো কোনও শহরে রকেট ছুড়ে বসেন, হাসপাতালে মানুষ মরে যায়, এভাবে আর কতদিন চলবে?”, বলেন তিনি।
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা নিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকে বড় করে তুলে ধরেছেন ট্রাম্প।
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, কিংবা রুয়ান্ডার সঙ্গে কঙ্গোর সংঘাত অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভূমিকা’র কথা বলেছেন তিনি। তার এমন প্রচেষ্টায় প্রশংসা এসেছে অনেক নেতার কাছ থেকে, যারা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার কথাও বলেছেন।