২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বন্ধু হিলারি ক্লিনটনের হার দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তার কণ্ঠে নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশির হতাশার সুর স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছিল। সেবার ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়কে তিনি সূর্য গ্রহণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন; বলেছিলেন, ট্রাম্পের সেই জয় ধাক্কা হয়ে লেগেছে তার মনে।
সেই নির্বাচনে ডেমোক্রেট হিলারিকে হারিয়ে চার বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি, চার বছর পর আবার ভোটে জিতে সোমবারই প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলেন।
ট্রাম্প যখন তার হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেয়েছেন, তখন ইউনূসের পরিচয়ও বদলে গেছে। গরিবের ব্যাংকার বা ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা পরিচয় থেকে এখন নিজ দেশের সরকারের কর্ণধার তিনি। গত আগস্টে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের সরকারের পতনের পর ‘আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের চাওয়ায়’ তিনি নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
আট বছর আগের ইউনূসের সেই কথা কি ট্রাম্প মনে রেখেছেন? ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মনে করেন, ট্রাম্পের সেকথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। অভ্যুত্থানের পর দেশছাড়া অবস্থায় ভারতের সংবাদপত্র দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সম্প্রতি বলেন, “ড. ইউনূস হিলারি ক্লিনটনের প্রচারে অর্থ ঢেলেছিলেন। ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়কে বলেছিলেন, সূর্যগ্রহণ। আমি তো মনেই করি, ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কিছু না কিছু প্রতিক্রিয়া হবে।”
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ এখন নাজুক এক অবস্থায় রয়েছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক নেতাই পালিয়ে গেছেন বিদেশে, দেশে যারা ছিলেন তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের জুলাইয়ের আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের জন্য গণহত্যার দায়ে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে ইউনূসের সরকার।
আকস্মিক বিপর্যয়ে হতাশ হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় পরিবর্তনে আশা খুঁজছেন। তারা বলছেন, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দূরত্ব ছিল, ফলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় নিশ্চয়ই পরিস্থিতি বদলাবে। আর তাতে ইউনূস সরকার বিপাকে পড়লে আওয়ামী লীগের হালে পানি পাওয়ার সুযোগ ফিরে আসবে।
ডেমোক্রেট বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতিও নিয়েছিল ওয়াশিংটন।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অভিযোগ করেছিলেন, তাকে উৎখাতের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চাইছে।
এই রকম অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচনের প্রচারে থাকার সময়ই বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে একটি টুইট করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু ভোটারদের মন পেতে ট্রাম্প তা করেছিলেন বলে অনেকে মনে করলেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তা দেখেই উৎফুল্ল হয়েছিলেন।
সেই রেশ যে এখনও আছে, তো বোঝা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের কথা। তিনিও অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সমর্থকদের জন্য যেমন অস্বস্তির কারণ হবে, তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উজ্জীবিত করবে।
এর কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, “ডনাল্ড ট্রাম্প যাদের পছন্দ করে না, তারা বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বিশেষ পছন্দ করেন। ফলে আমরা মনে করি, ইউনূস সাহেব বাইডেন প্রশাসনের যেমন সমর্থন পেয়েছেন, সেটি তিনি ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পাবেন না।”
ট্রাম্প যদি ইউনূস সরকারের প্রতি বিরাগ হন, তবে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতায় তার ছাপ পড়বে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার ঠিক আগে আগে বাংলাদেশে কাজ করে যাওয়া কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাটকে পদত্যাগ করতে বলার ঘটনাটিকে নিজেদের আশা পূরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
আসলে কি ঘটবে?
বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের উজ্জীবিত হওয়ার কোনো কারণ রয়েছে কি না- সে প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের কারণে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু ঘটুক আর না ঘটুক, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব রয়েছে বলেই কাউকে কাউকে উজ্জীবিত হতে দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা কূটনীতিক হুমায়ুন কবির মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান যে বদলাবে, তা তিনি মনে করেন না।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং তরুণ প্রজন্ম ও জনগণ যে পুরনো জায়গায় ফেরত যেতে যায় না, তা ওয়াশিংটনও বুঝবে।
“তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নীতিমালা ও বাংলাদেশের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যে অবস্থায় আছে, সেটাকে অস্থিতিশীল করার মতো কোনো কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন খুঁজে পাবেন বলে মনে হয় না। ট্রাম্প প্রশাসন আসার পরও বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের অবস্থানের খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করি না।”
যুক্তরাষ্ট্র কী চাইবে- তা তুলে ধরে হুমায়ুন কবির বলেন, “তারা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অগ্রসর দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চায়। আঞ্চলিকভাবে অবদান রাখতে সক্ষম এমন বাংলাদেশ তারা চায়। আর বাংলাদেশের এখনকার বাস্তবতায় তাদের এসব চাহিদার সাথে সাযুজ্য আছে। এটা কেন তারা নষ্ট করবে, আমি বুঝি না। তাছাড়া চলমান সংস্কার কার্যক্রমকেও তারা সমর্থন দিচ্ছে।”
অধ্যাপক মুজিবুর রহমানও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ হুটহাট সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের বিষয়ে নীতি পরিবর্তন করে বলে তিনি মনে করেন না।
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের উৎফুল্ল হওয়ার কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে- “যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে অস্বীকার করার কিছু নেই এবং সে কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোও এটিকে ব্যবহার করে অনেক সময় সুবিধা নিতে চায়। তারা জনগণের মনে একটা ধারণা দিতে চায় যে শক্তিশালী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন সমর্থন তাদের দিকে আছে।”
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরাফাত অবশ্য বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশসহ অনেক দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে, ট্রাম্প সেই ধরনের নীতিতে বিশ্বাস করেন না।
ওয়াশিংটনে পরিবর্তনে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী পলিটিকো’তে সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে লেখা হয়, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুরুত্ব দিত। তা ট্রাম্পের সরকার সেখানে অতটা গুরুত্ব দেবে না। ফলে ইউনূস সরকার বাইডেনের সমর্থন যতটা পেয়েছে, তা হয়ত ট্রাম্পের কাছ থেকে পাবে না।
তবে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের নীতির ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব রাখে না বলেই সেই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, আর এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক রেখে যেভাবে কাজ করতে এগিয়ে যাচ্ছে ইউনূস সরকার, তাতে অন্য দিক থেকে সাড়াও পাচ্ছে তারা। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখানে তার নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটাতে চাইবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান এই বিষয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস এক সময় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন। সেই প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন, এখন তিনি সরকারের দায়িত্বে। আর ট্রাম্প ভোটে জেতার পর তাকে অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়টিকে ট্রাম্প কোন চোখে দেখবেন। তবে মনে হয় না যে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ছাপিয়ে ট্রাম্প এটাকে ব্যক্তিগত বিষয় হিসাবে দেখবেন। আর ইউনূস সরকারও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
কুগেলম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর। সেখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চাইবেন না ট্রাম্প। আবার এমন কিছুও করবেন না, যাতে বাংলাদেশ চীনের দিকে হেলে পড়ে।
তবে এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কুগেলম্যান। তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর বেশ সখ্য। তাদের মধ্যে আদর্শগত মিলও রয়েছে।”
হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন সরব থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপের দিকে ট্রাম্প প্রশাসন যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
পলিটিকোর প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বাংলাদেশের বিষয়ে কী হবে, তাসে বিষয়ে ভারতের একটি ভূমিকা থাকবে।
ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সম্প্রতি বলেন যে স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে নয়া দিল্লি ও ওয়াশিংটন একসঙ্গে কাজ করবে।
ইউনূস সরকারের ভাবনা নেই
গত নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর এই প্রশ্ন উঠেছিল যে এখন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নাজুক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না?
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সেই ধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিতেও ইউনূসের অনেক শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন। ফলে সেদিক থেকেত শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
পরে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস নিজেই বলেন, তিনি ডেমোক্রেটদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলেও তার সরকার রিপাবলিকান ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গেও কাজ করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রে তাকে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলে ভূিষত করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, তখন মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলই একমত হয়ে তাকে পদক দিয়েছিল।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রাসি অ্যান জ্যাবকসন সোমবারই দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পথ নির্ধারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ এবং অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকটি হয়। বৈঠকে দুজনই দুই দেশের শক্তিশালী অংশীদারত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জ্যাকবসন বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণে তার দেশের সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন।