আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউসহ ৬ সংস্থার

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট হলেও আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞার অবসান চেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ছয়টি অধিকার সংস্থা।

এই আহ্বান রেখে রোববার তারা যৌথভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

তাদের সঙ্গে রয়েছে সাংবাদিকদের সুরক্ষার সংগঠন নিউ ইয়র্কভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক নাগরিক অধিকার সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত এক অভ্যুত্থানে গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের ওপর আক্ষরিক অর্থেই বড় দুর্বিপাক নেমে এসেছে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় জেলা কার্যালয়, কোনোটিই অক্ষত নেই। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়ে আছেন ভারতে, দেশে থাকা অধিকাংশ নেতা কারাগারে, কেউ কেউ পালিয়ে আছেন বিদেশে।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, যা এখন ক্ষতবিক্ষত।

অভ্যুত্থানকারীদের দাবির মুখে গত বছরের আগস্টেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর এই বছর আওয়ামী লীগের কার্যাক্রমেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আসে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা রয়েছে, তাতে বড় দল আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তা নিয়ে দেশে ও বিদেশে নানা প্রশ্ন ওঠার মধ্যে ইউনূসের কাছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চিঠি গেল।

চিঠিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর বিস্তৃত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফেরার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে এবং ভোটারদের বড় অংশকে কার্যত বঞ্চিত করবে।

নির্বিচার গ্রেপ্তার ও আটক বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে ২০২৪ সালের আগস্টের আগে ও পরে দায়ের করা ওই ধরনের সব মামলা পর্যালোচনা ও বাতিল করা। এসব মামলার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থক, যাদের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়া আটক করা হয়েছে, তাদের কথাও রয়েছে।

বিচারের ক্ষেত্রে যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় থাকে, তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেয়া স্থগিত রাখার সুপারিশও করেছে তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর:

আরও পড়ুন