জাতিসংঘে ভাষণ দিলেন নাকি শাসালেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স ভায়া বিডিনিউজ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স ভায়া বিডিনিউজ।

সন্ত্রীক জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রবেশের সময় চলন্ত সিড়িতে বিপত্তিতে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেটি বন্ধ হয়ে পড়ায় পায়ে হেঁটে উঠতে হয় তাদের। এরপর ভাষণ দিতে গিয়ে আরেক বিপত্তি; টেলিপ্রম্পটার ভাঙা দেখতে পান তিনি। এরকম অব্যবস্থাপনা যেন জাতিসংঘের সামগ্রিক দুর্বলতার প্রতীক হয়ে ধরা দেয় পাগলাটে ট্রাম্পের কাছ।

বক্তব্যে জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। সংস্থাটি তার সম্ভাবনা কাজে লাগায়নি বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শান্তি স্থাপন বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের অবস্থা এখন বন্ধ হওয়া চলন্ত সিড়ি বা ভাঙা টেলিপ্রম্পটারের মতোই। 

নিজের নির্ধারিত ১৫ মিনিট পার করেও বক্তব্য চালিয়ে যান তিনি। অভিযোগ করেন, অভিবাসীদের নানা সুবিধা দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে আক্রান্ত করছে জাতিসংঘ। শুধু আন্তর্জাতিক সংস্থাটি নয়, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শত্রু-মিত্র সবাইকেই নানাভাবে কথা শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

জাতিসংঘে নির্ধারিত ১৫ মিনিটের জায়গায় প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে ট্রাম্প বিভিন্ন ইস্যুতে এমনসব মন্তব্য করেছেন যা মুহূর্তেই নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভাষণে জাতিসংঘের উপযোগিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

অভিবাসন ও জলবায়ু ইস্যুতে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ থাকার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ইউরোপকে। কথা বলেছেন ইউক্রেন, ইরান, গাজাসহ বিবদমান বিভিন্ন বিষয়ে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন অন্তত সাতটি যুদ্ধ তিনি বন্ধ করেছেন যার ‘প্রত্যেকটিই হয়তো একটি করে নোবেল পাওয়ার মতো’ কাজ।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে আমেরিকা তার ‘স্বর্ণযুগ’ অতিক্রম করছে। চলমান সংঘাতের প্রসঙ্গে টেনে, ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘সবচেয়ে সহজে সমাধানযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘যুদ্ধ শেষ করতেই হবে,’ এবং জিম্মিদেরও মুক্তি দিতে হবে।

বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে তা “হামাসের নৃশংসতার জন্য একটি পুরস্কার” বলেও মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

৫৬ মিনিটের ভাষণ শেষে ট্রাম্প সমাপ্তি টানেন এই বলে, আপনাদের সীমান্ত এবং প্রচলিত জ্বালানির উৎস শক্তিশালী করতে হবে, যদি আপনারা আবার মহান হতে চান।

আরও পড়ুন