সন্ত্রাস রুখতে মোদীর পাশে বিশ্বের কোন কোন দেশ?

Untitled design (4)

কাশ্মীরে নৃশংস হামলারনিন্দায় একযোগে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফোন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। হামলার তীব্র নিন্দা করে কড়া বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ফোন করেছিলেন ‘বন্ধু’ মোদীকে।

জঙ্গি হামলার পরে রণংদেহি মেজাজে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই। এই পরিস্থিতিতে ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কাশ্মীরে হামলা নিয়ে বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একের পর এক রাষ্ট্রনেতার ফোন এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

আমেরিকা এবং চীনের রাষ্ট্রদূতরা হাজির ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বৈঠকে। এছাড়াও জার্মানি, জাপান, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতরা রয়েছেন সেই তালিকায়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন বিক্রম মিসরি। হামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় তাদের।

সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই মোদীকে ফোন করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়র মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। নৃশংস হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও হামলার তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ সকলেই ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

বৃহস্পতিবার বিশেষ বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও স্পষ্ট জানিয়েছেন যে আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করছে আমেরিকা। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক, এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন