বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল ‘আওয়ামী লীগের’ পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছে বলে দাবি করেছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির।
সংগঠনটি বলছে, তাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বরং ‘আওয়ামী লীগ’ ও ‘শাহবাগী দোসরদের’ পরামর্শ শুনছে ছাত্রদল।
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে এমন দাবি করে সংগঠনটি।
সংগঠনের ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া ওই পোস্টের নিচে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে।
‘ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান’ শিরোনামের ওই পোস্টে বলা হয়, “ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি- ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’।
“কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছে।”
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এর প্রতিফলন ঘটেছে বলেও অভিযোগ করা হয় ওই পোস্টে।
ছাত্রদলের কাছে প্রশ্ন রেখে এতে বলা হয়, “আজকের (মঙ্গলবারের) ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?”
ছাত্রদলের প্রাপ্য ত্যাগের স্বীকৃতি দিতেও ছাত্রশিবির কৃপণতা করে না বলেও উল্লেখ করা হয় ওই পোস্টে।
“আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না।
“কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন। যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশিরভাগ সমন্বয়ক ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ছিল বলে খোদ ওই সংগঠনই স্বীকার করেছে।
সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা ছদ্মবেশে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে গেছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ কুয়েটের ঘটনায় সংগঠনটিকে ‘গুপ্ত সংগঠন’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল।
পোস্টের শেষে ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে বলা হয়, “বিশেষ অনুরোধ- ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না।”