ইন্দ্রনীল ডিভোর্স চেয়েছিল, আমি বিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলাম: বরখা

Indraneil and Barkha Bisht

ভারতীয় সিনেমার দুই অভিনয় শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশতের বহুল আলোচিত দাম্পত্য বিচ্ছেদের কারণ সামনে এসেছে।

তবে কারণ নিয়ে কথা বলেছেন কেবল বরখা; ইন্দ্রনীলের কোনো মন্তব্য আসেনি সংবাদমাধ্যম বা সোশাল মিডিয়ায়।

সংবাদপ্রতিদিন লিখেছে, পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম ‘এই সময়’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন বরখা।

সেখানে এই অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি বিয়ে ‘বাঁচাতে চেয়েছেন’। আর ইন্দ্রনীল নতুন করে জীবন শুরু করার বাসনায় তার কাছে তালাক চেয়েছেন।

বরখা বলেছেন গত চারবছর ধরে আলাদা থাকার পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা শুরু হয়। বরখার কথায়, “চার বছর সেপারেশনের পর্বটা আমার জন্য খুব কষ্টের ছিল। জীবনে আপাতত কীভাবে মুভ অন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি। একটা সময়ে ইন্দ্রনীলকে ঘিরেই আমার জীবন ছিল। এখন নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি।”

পনেরো বছরের দাম্পত্যে ভাঙন ধরার কারণ জানতে চাইলে বরখা বলেছেন এই প্রশ্নের উত্তর তার প্রাক্তন স্বামী ইন্দ্রনীলের কাছে আছে।

তিনি বলেন, “আমি ভীষণভাবে বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইন্দ্রনীল সম্ভবত নিজের মত করে জীবনটা শুরু করতে চেয়েছিল। তাই ডিভোর্স চেয়েছে। আমিও জোর করিনি। কারণ জোর করে কাউকে সম্পর্কে আটকে রাখা যায় না। ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।”

২০২১ সালে ইন্দ্রনীল ও বরখার বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে খবর শোনা যায়। যে প্রক্রিয়া এখনো চলমান। বিচ্ছেদের কারণের উত্তরে তৃতীয় নারীর আনাগোণার খবরও এসেছে এর মধ্যে।

সে প্রসঙ্গে বরখার ভাষ্য, “অনেক কিছুই শুনেছি। কিন্তু সত্য মিথ্যের বিচার করতে চাইনি। সম্পর্কটা নেই, থাকছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেন ভাঙছে সেটা নিয়ে আমি মাথাও ঘামাতে চাই না।”

পাশাপাশি অভিনেত্রী সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন যে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া পুরোপুরি মিটে গেলে নিজের নামরে পাশ থেকে ‘সেনগুপ্ত’ পদবি সরিয়ে নেবেন।

সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে ইন্দ্রনীল বলেছিলেন, “যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, মানে দুটো মানুষ যখন মিউচুয়ালি প্রেমে পড়েছে, তখন কি বলতে পারবে কোন তারিখে প্রেমে পড়েছে? পারবে না। বলতে পারে কোন তারিখে প্রোপোজ করেছে বা বলতে পারে প্রথম কবে ডেটে গিয়েছে।

“একইরকম ভাবে যখন প্রেম ভাঙে তার তারিখ বলা যায় না। প্রেমে পড়ার থেকেও ভাঙার সময় যেন বেশি সময় লাগে। আমার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক ভাঙায় একটা জিনিস হয়েছে।”

ইন্দ্রনীলকে অভিনয়ে পাওয়া যায় ২০০৪ সাল থেকে। হিন্দি-বাংলা দুই মাধ্যমেই কাজ করেন এই অভিনেতা। মাঝে সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ হয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের সিনেমা ‘নন্দিনী’তেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।

বরখার ক্যারিয়ারও প্রায় দুই দশকের। তার বেশিরভাগ কাজ মুম্বাইয়ে। পশ্চিমবঙ্গে এই অভিনেত্রীর ‘আমি সুভাষ বলছি’ ও ‘দুই পৃথিবী’ জনপ্রিয় সিনেমা। প্রায় ১৪ বছর পর কলকাতার ‘খাদান’ দিয়ে বাংলা সিনেমায় ফিরেছেন বরখা।

আরও পড়ুন