কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে বুধবার নিজেদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ।
এই জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোল ব্যবধানে সিটিকে পেছনে ফেলে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রেয়াল মাদ্রিদ তাদের ১৬তম শিরোপা জয়ের মিশনে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোয় বায়ার লেভারকুসেন বা তাদের শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে।
ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর আগেই ম্যানচেস্টার সিটির ছিটকে যাওয়া দলটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাকে তিক্ত এক অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। এর আগে দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে কখনোই শেষ ষোলোর আগে এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না গুয়ার্দিওলার।
ম্যাচ শেষে রেয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা এমবাপ্পে বলেন, “এটি একটি নিখুঁত রাত ছিল। রেয়াল মাদ্রিদের শেষ ষোলোয় ওঠা একেবারেই স্বাভাবিক। আমরা ঘরের মাঠে খুবই শক্তিশালী দল এবং আমাদের সমর্থকদের আনন্দ দেওয়া দারুণ অনুভূতি।”
প্রথম লেগে ৩-২ গোলে পিছিয়ে থাকা সিটির জন্য ম্যাচের আগে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে যখন ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা আগে জানানো হয়, তাদের প্রধান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড হাঁটুর চোটের কারণে খেলতে পারবেন না।

এর প্রভাব দেখা যায় ম্যাচেও। খেলার প্রথমার্ধে সিটির খেলোয়াড়দের একটি শটও লক্ষ্য খুঁজে পায়নি। ফলে এক সময়ের দাপুটে দল ম্যানচেষ্টার সিটিকে তাদের ছাড়া হয়েই থাকতে হয় ম্যাচজুড়ে। অন্যদিকে পুরো ম্যাচের দাপট দেখায় রেয়াল।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে এমবাপ্পে রিয়ালের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। সিটির অধিনায়ক রুবেন ডিয়াসের হেড করার ভুলের সুযোগে এমবাপ্পে ফাঁকায় বল পেয়ে গোলরক্ষক এডারসনের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান।
৩৩তম মিনিটে এমবাপ্পে দ্বিতীয় গোল করেন। একটি দুর্দান্ত কাটব্যাক দিয়ে সিটির ডিফেন্ডার জোসকো গভার্দিওলকে মাটিতে ফেলে কাছ থেকে শট নেন এমবাপ্পে। ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে তিনি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন, যা এডারসনের ডান পোস্টের ভেতর দিয়ে জালে প্রবেশ করে।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সিটি একটি সান্ত্বনার গোল পায়। ওমর মারমুশের ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে এলেও নিকো গঞ্জালেসের ফিরতি শট জাল খুঁজে নেয়। তবে এই গোল ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে রেয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান আরও একবার প্রমাণ করল। একইসঙ্গে দলটি শিরোপার দৌড়ে এক ধাপ এগিয়েও গেল।