হৃদরোগে ভুগছেন? তেল ছাড়া খাবার খেতে পারছেন না? তবে জেনে নিন কোন তেল এড়িয়ে চললে যত্নে থাকবে আপনার হৃদয়।
সুস্বাদু খাবারে তেল থাকবে না হয় না। রান্নার স্বাদ বাড়াতে তেল যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই তেলের গুণে ভাল থাকে স্বাস্থ্য। সালাদের ড্রেসিং হোক কিংবা স্বাস্থ্যকর স্যাঁতলে নেয়া সবজি সব কিছুতেই অল্প হলেও তেল প্রয়োজন।
পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীর ভাল রাখতে রান্নায় যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন তাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম হয়। কারণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং শর্করা বাড়িয়ে দেয়ার পেছনে ওই দুই উপদানের হাত আছে। সোজা কথা রান্নার তেলেও লুকিয়ে আছে সুস্থতার চাবিকাঠি।
আর বাজারে বিক্রি হওয়া সব তেলই যে কিন্তু শরীরের জন্য ভাল তাও নয়। রান্নায় কোন তেল এড়িয়ে চলা উচিত চলুন সেটা জেনে নিই।
১. পাম অয়েল– সবচেয়ে বেশি পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে পাম অয়েলের মধ্যে। প্রতি দিনের রান্নায় এই তেল ব্যবহার করলে রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার না করাই ভালো।
২. নারকেল তেল: দক্ষিণ ভারতের রান্নায় নারিকেল তেলের ব্যবহার বেশি হলেও নারিকেল তেল কিন্তু খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে রয়েছে লওরিক অ্যাসিড; যা রক্তে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলেোর মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
৩.কর্ন অয়েল: কর্ন বা ভুট্টার তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় রক্তে এই ওমেগা-৬ বেড়ে যেতে পারে। আর ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা হতেই পারে। তাই রান্নায় কর্ন অয়েল ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
৪. কার্পাস বীজের তেল: কার্পাস বীজের তেল বা কটনসিড অয়েলের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি।
৫. সয়াবিন তেল: পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে সয়াবিনের তেলে। এছাড়া এতে মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্টের রোগের ভয়াবহতা বাড়িতে তুলতে পারে।