বুধবারের পত্রিকা: ‘রেমিট্যান্স ছাড়া কোনো সুখবর নেই’

newspaper
চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনের খবর বুধবার প্রকাশিত সব সংবাদপত্রেই গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ঘিরে নানাবিধ সংকটের খবরও উঠে এসেছে। এর বাইরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মৌলিক সংস্কারের’ রূপরেখা তুলে ধরা, টানা গ্যাস সংকট, শিল্পকারখানায় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়া, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আইনে বিদ্যমান জটিলতা দূর করে সংশোধনী আনার প্রস্তাবে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন, অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে উদ্ভট চিত্র দেশের তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া এবং ৬৫৮ কোটি টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কেনা নতুন কোচ-ইঞ্জিনে ত্রুটির খবরসহ  বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিকখবর গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে বা প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘জনস্রোতে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ চার মাস যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লাখো মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে গতকাল বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।

সাড়ে তিন বছর পর তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঘরে প্রবেশ করেন। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি তাঁর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ফিরোজায় আসেন। এ সময় পথে পথে জনস্রোতের ফুলেল অভ্যর্থনায় সিক্ত হন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় ‘রেমিট্যান্স ছাড়া কোনো সুখবর নেই’ শিরোনামের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাস। গত বছরের ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ছাড়া দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে তেমন কোনো অর্জন নেই বললেই চলে।

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গত এপ্রিলে (এক মাসে ২৭৫ কোটি ডলার)। একই সময়ে দেশে রপ্তানি আয় এসেছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। আবার গত ৫ আগস্টের পর খেলাপি ঋণও বেড়েছে রেকর্ড মাত্রায়। রাজস্ব খাতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ) সময়ে এডিপির মাত্র ৩৭ শতাংশের কাছাকাছি বাস্তবায়ন হয়েছে। যা গত এক দশকের সর্বনিম্ন।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। ব্যাংক খাতের অস্থিরতাও কাটেনি। দেশের অর্থনীতিতে এত সমস্যার মধ্যেও দু-একটি অর্জন নিয়েই আত্মতুষ্টিতে ভোগা শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রথম আলো

চার মাসের চিকিৎসা ও পারিবারিক পরিচর্যায় ‘অনেকটাই সুস্থ’ হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন– খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘অনেকটাই সুস্থ খালেদা জিয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার মাসের চিকিৎসা ও পারিবারিক পরিচর্যায় ‘অনেকটাই সুস্থ’ হয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পথজুড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে বেলা দেড়টার দিকে তিনি যখন গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উঠানে দাঁড়ানো গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢুকছিলেন, তখন স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোর সরাসরি সম্প্রচারে একটি দৃশ্য সবার চোখ জুড়ায়। তা হচ্ছে খালেদা জিয়া ধীর পায়ে হেঁটে বাসায় প্রবেশ করছেন। চার মাস আগে যা ছিল অচিন্তনীয়।

প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘মৌলিক সংস্কারে এনসিপির রূপরেখা, মূল লক্ষ্য তিনটি’ শিরোনামের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ‘মৌলিক সংস্কারের’ রূপরেখা তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলেছে, মৌলিক সংস্কারের মূল লক্ষ্য তিনটি—ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বর্ধিত আলোচনায় এনসিপি তাদের রূপরেখা তুলে ধরে। এনসিপি মনে করে, নির্বাচন যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু তার আগে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার দৃশ্যমান পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।

সমকাল

চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম, কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে— এমন  খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘শিল্পে টানা গ্যাস সংকট, উৎপাদনে ভাটা’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাহিদার তুলনায় গ্যাস মিলছে ৪০ শতাংশ কম। কলকারখানার চাকা ঘুরছে ধুঁকে ধুঁকে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ভালুকাসহ দেশের সব শিল্পাঞ্চলেই অভিন্ন পরিস্থিতি। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত। গ্যাসের অভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।

রাতে মিললেও দিনে গ্যাস যেন দুষ্প্রাপ্য। কাজ না থাকায় অনেক কারখানার শ্রমিক দিনে অলস সময় কাটাচ্ছেন। রাত থেকে ভোর– এ সময়ে গ্যাসের চাপ বাড়লেই ঘোরে কারখানার চাকা। শ্রমিককে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে সে সময় কাজে নামানো হয়।

অনেক উদ্যোক্তা সিএনজি, এলপিজি বা ডিজেল দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বিকল্প জ্বালানি ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ হচ্ছে দ্বিগুণ। খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু কারখানা। গত আট মাসে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়েও। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। এর পরও আমদানিকারকদের অর্ডার সময়মতো পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় বাতিল হচ্ছে রপ্তানি আদেশ।

কালের কণ্ঠ

চিকিৎসা শেষে চার মাস পর লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘আনন্দ উচ্ছ্বাস বিপুল জনস্রোত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শেষে চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পথজুড়ে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। রাজপথে নেমে এসে উচ্ছ্বসিত জনতা তাঁকে বরণ করে নেয় প্রাণখোলা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়। দেশের মাটিতে প্রিয় নেত্রীর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা আর সমর্থনের জানান দিল।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী কাতার আমিরের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সোয়া ১১টায় বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে গুলশানের বাসায় পৌঁছেন দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে।

২০১৮ সালে কারাগারে যাওয়ার পর গত সাত বছরে কোনো জনসমাবেশে সশরীরে অংশ নেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। এবার তাঁর দেশে ফেরা ঘিরে কার্যত বড় আকারের জমায়েত ঘটাল বিএনপি।

ইত্তেফাক

চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখো মানুষের প্রাণঢালা অভ্যর্থনা, আবেগাপ্লুত উচ্ছ্বাস, মুহুর্মুহু স্লোগান ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে ছেলের কাছে ছিলেন তিনি। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ছিল জনস্রোত। নেত্রীকে পরম ভালোবাসায় বরণ করে নিতে সারা দেশ থেকে আসেন দলের লাখো নেতা-কর্মী-সমর্থক। দুই পুত্রবধূকে নিয়ে জনজোয়ার পেরিয়ে বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছাতে খালেদা জিয়ার দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।

ইত্তেফাকের প্র্রথম পাতায় ‘সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে ইসির আইনি জটিলতা কাটল’ শিরোনামের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আইনে বিদ্যমান জটিলতা দূর করে সংশোধনী আনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে বলেন, এখন অধ্যাদেশ জারি হলে সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটি তারা ইচ্ছা করলে শুরু করতে পারবে।

যুগান্তর

চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া: জনতার ভালোবাসায় সিক্ত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শেষে চার মাস পর মঙ্গলবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার এই ফিরে আসায় দলের নেতাকর্মীসহ লাখো জনতা রাজপথে নেমে তাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর, বনানী হয়ে গুলশান সড়কজুড়ে জনতার ঢল নামে। কারও হাতে ফুল, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউবা প্রিয় নেত্রীর ছবি সংবলিত টি-শার্ট পরা, আবার কেউ স্রেফ একনজর চেয়ে ছিলেন সেই মুখপানে; যেখানে জমে আছে আবেগ ও ইতিহাস। খালেদা জিয়া হাসলেন, হাত নাড়লেন, এতেই কাঁপল লাখো নেতাকর্মীর মন। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়, এটা প্রিয় মানুষের ঘরে ফেরা; যা মানুষের মনে জাগিয়েছে নতুন আশা, নতুন ভোরের স্বপ্ন। তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন-এ কথা যেন আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসার ফুলেল অভ্যর্থনায়। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ফিরোজায় পৌঁছালেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। দেশবাসীর প্রতিও শুভেচ্ছা-কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বণিক বার্তা

অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে উদ্ভট চিত্র দেশের তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। উদ্ভট পরিসংখ্যানের পিঠে চড়েছে দেশের অর্থনীতি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের ভোগ ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির মধ্যে বেশ দৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলে বিদ্যুতের ভোগও বাড়ে, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষি খাতে। এর কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়লে তা শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্য প্রয়োজনীয় সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদাকেও বাড়িয়ে দেয়। যদিও স্বতঃসিদ্ধ এ নিয়ম বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো হয়। এখানে বিদ্যুতের ভোগ কমে গেলেও উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে দেখা গেছে। ২০১৮ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ ছিল দশমিক ৪৪ শতাংশ ঋণাত্মক, যদিও এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে বিদ্যুতের ভোগ বাড়া সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার নজির রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে বিদ্যুতের ভোগ বেড়েছে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। বিপরীতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে এ উদ্ভট চিত্র দেশের তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।

নয়া দিগন্ত

চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘রাজসিক প্রত্যাবর্তন খালেদা জিয়ার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থ খালেদা জিয়াকে গত সাত বছর কম নিপীড়ন সহ্য করতে হয়নি। ছিলেন কারাবন্দী। চরম অসুস্থতা তাকে নিদারুণ ভুগিয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা হয়নি, জীবন ছিল সঙ্কটাপন্ন। কিন্তু তার দীর্ঘ আপসহীনতা আর দৃঢ়চেতা মনোবল সেই মলিন অধ্যায়কে যেন আরো একবার পেছনে ফেলে দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর মুক্ত বাতাসের স্বাদ পান তিনি। এরপর বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে গতকাল আবারো দেশের মাটিতে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। রাজপথে নেমে এসে উচ্ছ্বসিত জনতা তাকে বরণ করে নেন প্রাণখোলা ভালোবাসায়।

আজকের পত্রিকা

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচে কারিগরি ত্রুটির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা নতুন কোচ-ইঞ্জিনে ত্রুটি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৫৮ কোটি টাকায় কেনা ডিজেলচালিত ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) এবং ১৪৭টি যাত্রীবাহী কোচের বেশ কয়েকটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলোর ডিসপ্লে কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ঘোষণা শুনতে পাচ্ছে না যাত্রীরা। এ কারণে ডিসপ্লে, পিআইএস, কাপলার প্রতিস্থাপনের বিকল্প নেই। অকেজো পড়ে আছে তিনটি পাওয়ার কার।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (ওয়ারেন্টির মেয়াদকালে) কোরীয় ঠিকাদারের ত্রুটি মেরামত করার কথা। কিন্তু প্রকল্প দপ্তর, কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি ও কোরীয় প্রতিনিধিকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশনের জন্য সার্কিট ডায়াগ্রাম, ম্যানুয়াল, প্রোডাক্ট ব্রুশিয়ারের হার্ড কপি এবং সফট কপি সরবরাহ করা হয়নি।

দেশ রূপান্তর

চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘খালেদা জিয়ার রাজসিক প্রত্যাবর্তন শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন নানা শারীরিক জটিলতায় ভোগার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনসমক্ষে সাধারণত হুইল চেয়ারে দেখা গেছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ছিল এক ভিন্ন চিত্র। কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি গুলশানের ফিরোজায় যান তিনি। সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত আসে তখন, যখন গাড়ি থেকে নামার পর খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূসহ অন্যদের সহায়তায় ধীরে ধীরে হেঁটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। এই দৃশ্য শুধু তার শারীরিক উন্নতির নয়, বরং তার মনোবলের এক দৃশ্যমান উদাহরণ হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রধানকে হাঁটতে দেখে আবেগে কাঁদতে দেখা যায় অনেক নেতাকর্মীকে। তারা বলেন, ‘ম্যাডাম আজ নিজে হেঁটে ফিরোজায় ঢুকেছেন, এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় প্রেরণা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads