লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন ব্রিটিশ এমপি রুপার্ট লোয়ি। আর তাতে ‘ঘি ঢাললেন’ বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম ইলন মাস্ক, যিনি ‘ইয়েস’ লিখে জানানেল সমর্থন।
গ্রেট ইয়ারমাউথের ওই এমপি একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন: “এটা লন্ডন, এখানে স্টেশনে নাম ইংরেজিতে থাকা উচিত, কেবলই ইংরেজিতে।”
ডানপন্থি জনতুষ্টিবাদী দল রিফর্ম ইউকের সদস্য লোয়ি এক্সের ওই পোস্টে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের ইংরেজি ও বাংলা নামের পাশাপাশি লাগানো দুটি সাইনবোর্ডের ছবি শেয়ার করেন।
অল্প সময়ের মধ্যে বিতর্কের ঝড় তোলে তার ওই পোস্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ তাকে সমর্থন জানালেও অনেকেই এতে ‘অন্যায় কিছু হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন।
টেসলা ও এক্সের কর্নধার ইলন মাস্ক লোয়িকে সমর্থন জানালে সেটি আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
লোয়ির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মাস্কের এই সমর্থন এমন সময়ে এলো যখন যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে টেসলার প্রধান নির্বাহীর সম্পৃক্ততা ক্রমশ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
মাস্ক সম্প্রতি রিফর্ম ইউকের নেতা হিসেবে নাইজেল ফারাজেকে দেখতে চান বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন; তার সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে ৬৭ বছর বয়সী লোয়ির প্রতিও স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতার সমর্থন আছে বলেই মনে হচ্ছে।
রুপার্টের ওই পোস্ট শেয়ার করে স্টিগেন নামে একজন লিখেছেন: আমি যদি আপনার মনোভাবকে সমর্থনও করি তবুও একবার ভাবুন আপনি সাংহাই বেড়াতে গেছেন এবং একটি শব্দও আপনি ইংরেজিতে পেলেন না?
স্টিগেনকে সমর্থন জানিয়ে এমা ব্রেইন লিখেছেন, সত্যিই তো। আমি অনেক দেশে দেখেছি সেসব দেশে আরবি এবং ইংরেজিতে লেখা রয়েছে। ইদানিং তো আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, রাশিয়ান এবং চাইনিজ ভাষায় লেখা থাকে।
হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে বাংলা নামের সাইনবোর্ড যুক্ত করায় তিন বছর আগে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বলেছিলেন, এটি বাংলা ভাষার তাৎপর্যের স্বীকৃতি।
“লন্ডন টিউব রেল হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করেছে জেনে গর্বিত, এটা ১০০০ বছরের পুরনো ভাষাটির ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক গুরুত্ব ও প্রভাবের ইঙ্গিত,” ২০২২ সালের মার্চে এক্সে এমনটাই লিখেছিলেন তিনি।
এই সিদ্ধান্ত সাংস্কৃতিক সংযোগের মাধ্যমে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, “এটি (হোয়াইটচ্যাপেলে বাংলা সাইনবোর্ড) আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিজয়।”