আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সারাদেশে দুই হাজারের বেশি ‘ক্রসফায়ার’ এবং ১৫৩ জনকে ‘গুমের’ কথা জানিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের জানান, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অফিসে বিএনপি ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ দাখিল করেছে।”
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির গুম-খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো. সালাউদ্দিন খান পিপিএম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা গুমের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি’র মত একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ও কিছু অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অপহরণ পূর্বক গুম করে হত্যা করে।
বিএনপি’র তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ১৫৩ জনকে গুম করে হত্যা ও অপহরণ পূর্বক গুম করে রাখা হয়েছে। এসব গুম সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয় ওই আবেদনে।
ক্রসফায়ারের অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্রসফায়ারের নামে ২২৭৬ জনদের হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপি’র পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগ দায়েরের পর সালাউদ্দিন খান বলেন, “ক্রসফায়ার ও গুমের শিকার সবাই আমাদের দলের নেতা-কর্মী। যেমন গুমের শিকার হয়েছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, আমাদের নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ ১৫৩ জন।”