‘হাত ওঠাব কেমনে, পেছনে তো হ্যান্ডকাপ লাগানো’

Jatrabari oc

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড শুনানি শুরু হলে তাকে ডাকা হয়। এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল হোসেনকে হাত ওঠাতে বলা হয়।

তখন আবুল হাসান বলেন, “হাত ওঠাব কেমনে, পেছনে তো হ্যান্ডকাপ লাগানো।”

হ্যান্ডকাপ লাগানো ব্যক্তি কীভাবে হাত ওঠাবে? এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি আদালত।

আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মঞ্জুরুল হাসান জিসান নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে বুধবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, “আবুল হোসেন আলোচিত ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-জনতার লাশ পড়ে ছিল। তিনি বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। হত্যাচেষ্টা মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তার ৫ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।”

রিমান্ড শুনানিতে আবুল হাসানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকার মহানগর হাকিম জিএম ফারহান ইশতিয়াক বুধবার সকালে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নুর হোসেন গত ২২ মার্চ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন মঞ্জুরুল আলম জিসান (১৯)। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. তাজ উদ্দিন গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে আবুল হাসানের নাম।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads