ভবেশের মৃত্যুতে ভারতের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করলেন প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায় মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, ভবেশের শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

ভারত সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার রাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, “দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের মুখপাত্র শফিকুল আলম বলেন, “আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।”

প্রেস সচিব বলেন, “বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে।”

তিনি আরও বলেন, “এ নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তার পরিবার কারও সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানাননি।”

শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

“আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য,” তিনি যোগ করেন।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের হত্যাকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে।

এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

আরও পড়ুন