ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বুধবার ভোরে পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীতে জননিরাপত্তা বিধান তথা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বুধবার ভোরে আকস্মিক তিনি পুলিশের টহল কার্যক্রম দেখতে বের হন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাসস।
ঢাকাসহ দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি ওঠার পর বুধবার ভোরে তার পুলিশের টহল কার্যক্রম ঘুরে দেখার খবর এলো।
বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, উপদেষ্টা বুধবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে স্থাপিত পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত চেকপোস্ট ও তল্লাশিচৌকির কার্যক্রম এবং কয়েকটি থানা ঘুরে দেখেন।
উপদেষ্টা তার বারিধারার ডিওএইচএস-এর বাসা থেকে বের হয়ে বনানী মোড়, বিজয় সরণি (নভোথিয়েটার), মানিক মিয়া এভিনিউ, কলাবাগান, ইডেন কলেজ হয়ে নিউমার্কেট থানা পরিদর্শন করেন। পরে নিউমার্কেট থানা থেকে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, মগবাজার, হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা হয়ে গুলশান থানা ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে গুলশান থানা থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে বারিধারার বাসায় ফিরে যান জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে তিনি আশপাশের কিছু অলিগলিও ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি রাজধানীসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে রবিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘণ্টা দুয়েক পর রাত ৩টার দিকে ডিওএইচএসে নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের’ দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের যারা এসব কাজ করছে, তাদের ঘুম হারাম করে দেব। তারা কোথাও স্থান পাবে না। দিনে বা রাতে তাদের কোথাও স্থান হবে না।”
