রোববারের পত্রিকা : ‘জনশক্তি রপ্তানির বাজার নেমেছে পাঁচ দেশে’

newspaper

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর গুরুত্ব পেয়েছে দেশের প্রায় সব সংবাদপত্রে। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গ বৈঠকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাগাদা দেওয়ার খবরটিও গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে সংবাদপত্রগুলো। এর বাইরে ব্যবসার উচ্চ খরচের কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে পড়ার খবরও গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রোববার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

আজকের পত্রিকা

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে— এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘জনশক্তি রপ্তানির বাজার নেমেছে পাঁচ দেশে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে; যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে। গত বছর অভিবাসী কর্মী হিসেবে পাড়ি দেওয়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৯০ শতাংশই গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুটিকয়েক দেশনির্ভর শ্রমবাজার দেশে অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। এর মধ্যে কোনো একটি দেশ অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করলে বা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে।

প্রথম আলো

অতিরিক্ত আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক পদ ফাঁকা রেখেই চলছে পুলিশ, যার প্রভাব পড়ছে কাজে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘গণহত্যার প্রতিবাদে সরব বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। খাদ্য, চিকিৎসাসহ সব পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পৃথিবীর দেশে দেশে মানবিক মানুষেরা সেই গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন। এবার এই গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের মানুষও। গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন লাখো মানুষ।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’-এর ডাকে আয়োজিত এ গণজমায়েতে অংশ নিতে ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল সকাল থেকে ট্রেনের ছাদে, বাসে, ট্রাকে ঢাকায় প্রবেশ করতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে হেঁটে এসেছেন অসংখ্য মানুষ। খণ্ড খণ্ড মিছিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়ে জনসমুদ্র তৈরি করে।

কালের কণ্ঠ

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘ঢাকায় উত্তাল জনসমুদ্র ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণজমায়েতে অংশ নেয় লাখো মানুষ। এই গণজমায়েত থেকে গাজায় গণহত্যা ও চলমান হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিচারসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল করে জায়নবাদী কম্পানির পণ্য বর্জন করতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আহবান জানানো হয়।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ গতকাল ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এই গণজমায়েতের আয়োজন করে। বিকেল ৪টায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা ও জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

সমকাল

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আহ্বানের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কারের তাগিদ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে এ তাগিদ দেন তিনি।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলেন। বৈঠকের পর রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি একাধিকবার সংশোধন করায় নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

ইত্তেফাক

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে বাংলাদেশের সব মানুষ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখেনি কেউ আগে। ‘ফিলিস্তিন’ ‘ফিলিস্তিন’ গগনবিদারী স্লোগান-রোনাজারিতে ঢাকার বুকে রচিত হয়েছিল একখণ্ড ফিলিস্তিন। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা উচ্চকিত করে মহাজনসমুদ্র থেকে বেশুমার মানুষ রাজধানীর আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে নিনাদ তুলেছে ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’,

‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘মুক্ত করো আল আকসা’। ইসরাইলি আগ্রাসন-গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে লাখ লাখ আমজনতা নেমে এসেছিল রাজপথে। সব পথ-সড়কমালা মিশে গিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী হয়ে। নজিরবিহীন এই মিছিলের যেন কোনো শুরু-শেষ ছিল না। বানের মতো এসেছেন ঊর্মিমুখর মানুষ। মানুষের দীর্ঘশ্বাসময় গুচ্ছ গুচ্ছ শোকের প্রতীক গাজা-রাফাহ-আল আকসা। চারপাশে শোভা পেয়েছে মানুষের মাথায় বাঁধা রুমাল, তাদের শরীরে প্যাঁচানো লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের ফিলিস্তিনের পতাকা। অনেকের হাতে হাতে ছিল ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, আমার ভাই শহিদ কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, আল কুদুস-জিন্দাবাদ ‘ইসরাইলি পণ্য-বয়কট বয়কট’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’ স্লোগান লেখা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড।

যুগান্তর

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর।জাগো বিশ্ব জাগো মানবতাশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেদিকে চোখ যায়, কেবল মানুষ আর মানুষ। হাতে হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, বুকে প্রতিশোধের আগুন, মুখে স্লোগান নিয়ে দৃপ্তপদভারে এগিয়ে চলেছে জনস্রোত। স্বজন হারানোর ব্যথা লালন করে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটছে মিছিলে অংশ নেওয়া যুবক, বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ। তারই প্রতিবাদে দল-মত, চিন্তা-দর্শন, সব মত ও পথের মিছিল মিশে গেছে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। গত পাঁচ আগস্টের পর জনতার এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, বিশাল জমায়েত দেখা যায়নি দেশে।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল মহাসমুদ্রে রূপ নেয়। গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এদিন ছিল না দল-মতের বিভেদ, রেষারেষি ভুলে পাশাপাশি হেঁটেছেন সবাই। কর্মসূচি ঘিরে ঐক্যের এক নতুন সেতুবন্ধ তৈরি হয়। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুষ্টিবদ্ধ প্রতিটি হাত মজলুম ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘মার্চ ফর গাজায় প্রকম্পিত ঢাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা যেন হয়ে উঠেছিল এক খণ্ড ফিলিস্তিন। গতকাল সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল মানুষের ঢল। ‘তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে মুখরিত ছিল ঢাকার রাজপথ। লাখ লাখ মানুষের মিছিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মানুষের হাতে ছিল ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা। মাথায় ছিল ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়াহ। অনেকের হাতে ছিল প্রতীকী রক্তাক্ত মৃত শিশুর লাশ।

মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষকে বিনামূল্যে পানি ও লেবুর শরবত দিতে দেখা গেছে অনেককে। কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র সংগঠনের সদস্য, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সচেতন সাধারণ নাগরিকরা। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড- ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’।

বণিক বার্তা

ব্যবসার উচ্চ খরচের কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘ব্যবসার উচ্চ খরচে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর একটি কম্বোডিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার এখনো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আকারে এত ছোট অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত বছর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, সুশাসন ও নামমাত্র সুদহার। বর্তমানে কম্বোডিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার ১ শতাংশেরও কম। গত মাসে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশটির মূল্যস্ফীতির হারও ছিল ১ শতাংশের নিচে।

বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে একই অঞ্চলের আরেক দেশ থাইল্যান্ড। ২০২৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ১ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন বাথ (প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার) বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে। গত বছর তাদের এফডিআই বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ডের নীতি সুদহার ও মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের ঘরে।

নয়া দিগন্ত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘জনসমুদ্রে গণহত্যার বিচার দাবি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গতকাল রাজধানীতে জনতার ঢল নেমেছিল। মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষের মহাসমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের গণহত্যার বিচার ও গণহত্যা বন্ধে কার্যকর সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সমাবেশের শেষে বিশেষ মুনাজাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় লাখ লাখ মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। অশ্রুসজল নয়নে ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, শিশু ও নারীদের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকাবাসীর জন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ সাহায্য কামনা করেন তারা।

দেশ রূপান্তর

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার ও নির্মমতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘স্মরণীয় সমাবেশে ফিলিস্তিনের পাশে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুঁড়িয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। প্রতিদিন মরছে মানুষ। নৃশংসতা বর্বরতার শিকার নারী ও শিশুরা। হৃদয় বিদীর্ণ করা সব দৃশ্য। ইসরায়েলের অমানবিকতায় বিশ্বজুড়ে চলছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশও। কয়েক দিন ধরেই নির্যাতিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে দেশে। সেই ধারায় গতকাল শনিবার স্মরণকালের বড় জমায়েতে মিলিত হন লাখো মানুষ। হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। মানুষের স্রোত গিয়ে থেমেছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ফিলিস্তিন-গাজা ঢাকা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে হলেও গতকাল ঢাকাকে মনে হয়েছিল যেন এক খণ্ড ফিলিস্তিন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads