শুল্ক থেকে দিনে আয় ২ বিলিয়ন ডলার, দাবি ট্রাম্পের

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে কয়লা নিয়ে একটি আদেশে সই করার পর তার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে কয়লা নিয়ে একটি আদেশে সই করার পর তার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

নতুন হারে শুল্ক আরোপ করার পর থেকে প্রতিদিন এই খাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ২ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে কয়লা নিয়ে একটি আদেশে সই করার পর বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি এই দাবি করেন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমনটা বলেছিলেন, তারই প্রতিধ্বনি করে মঙ্গরবার তিনি বলেন, “আমরা অনেক দেশের সঙ্গে কথা বলেছি” যারা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।

ট্রাম্প বলেন, “আমাদের সমস্যা হল, আমরা এত দ্রুত এতগুলো দেশের সাথে দেখা করতে পারছি না। আর আমাদের তা করার দরকারও নেই, কারণ শুল্ক চালু আছে এবং আমরা এমন পরিমাণে অর্থ পাচ্ছি যা আগে কখনও আসেনি।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, শিল্প খাতের নির্বাহীরা যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা ও ব্যবসা স্থাপন করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন, যেখানে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে না।

তবে, ট্রাম্প শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে বাজারের প্রতিক্রিয়া অথবা ডেমোক্র্যাট ও কিছু রিপাবলিকানদের কাছ থেকে আসা সমালোচনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

গত বুধবার হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশসহ ৬০ দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সার্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করার কথা জানিয়েছিলে ট্রাম্প, যা গত ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।

গত সপ্তাহের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। পাশাপাশি ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপর ৪৪ শতাংশ  শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এসব শুল্ক বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে।

এ ছাড়া চীনা পণ্যের ওপর তিনি ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এর সঙ্গে নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে। আগে থেকেই দেশটির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক থাকায় সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে চীনকে এখন ১০৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

অন্য দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, লাওসের পণ্যে ৪৮ শতাংশ, মাদাগাস্কারের পণ্যে ৪৭ শতাংশ, মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের পণ্যে ৪৬ শতাংশ, থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ, জাপান ও মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন  ট্রাম্প।

এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ২০ শতাংশ, ইসরায়েল ও ফিলিপাইনের পণ্যে ১৭ শতাংশ এবং চিলি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও কলম্বিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট।

এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের বিদেশি গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads