মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নারী শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তাবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছে।
ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।
আদালত ওই নির্দেশনার পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব ধরনের সংবাদমাধ্যম থেকে অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছে।
এ সময় হাইকোর্ট বলে, ধর্ষিতা শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন, তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পর করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজিবের ভাই রাতুল শেখ (১৭) এবং বোনের শাশুড়ি জাবেদা বেগম (৪০)।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, এরই মধ্যে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের ওই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়।
ঘটনার বিচার নিশ্চিতে শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যা রোববার দিবাগত রাত ২টায় শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যর্থ হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে তারা।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:
ধর্ষণের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী স্ফুলিঙ্গ, সরকারের হাতে সময় ২৪ ঘণ্টা
